বিশ্বায়ন বনাম ট্রাম্পায়ন
সাহেদ আলম :গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ কিউবার সাথে ওবামার আমলে জোড়া লাগানো সম্পর্ক বলা চলে ছিন্ন করেছেন। আবার নানান রকম অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলেছেন। বলেছেন, কিউবার রাজনৈতিক সংস্কার হতে হবে এবং সেখানে স্বীকৃত পন্থায় নির্বাচন হতে হবে। জবাবে কিউবার বর্তমার রাষ্ট্রপ্রধান রাউল ক্যাস্ট্রো বলেছেন, ট্রাম্প তুমি তোমার নিজের দেশের মানবাধিকার নিয়ে চিন্তা কর, আর কিউবা নিয়ে লেকচার বন্ধ কর।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ফ্লোরিডার মিয়ামিতে এই ঘোষণা দিচ্ছিলেন, বলা বাহুল্য সেখানে উপস্থিত কয়েক হাজার কিউবান বংশোদ্ভূত আমেরিকানরা বেশ উচ্ছ্বসিত ছিল। ট্রাম্পের এক সময়ের ঘোর প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্লোরিডা সিনেটর মার্ক রুবিও প্রশংসা করেছেন ট্রাম্পকে এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য।
মার্ক রুবিও’র পূর্বপুরুষ এসেছিলেন কিউবা থেকে। মার্ক রুবিও’র বাবা সহ প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কিউবান নাগরিক সাগর পাড়ি দিয়ে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৮২ সালের দিকে কিউবার তৎকালীণ ‘কট্টরপন্থী’ সমাজতান্ত্রিক নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো কারাগার থেকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন আমেরিকা পন্থী এই এক লাখ পঁচিশ হাজার নাগরিককে। ওঁরাই এখন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ধারায় বেশ প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ আর আইন প্রণেতাদের সাথে সংশ্লিষ্ট।
ওঁরা প্রেসিডেন্ট ওবামার আমলে কিউবা’র রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়াই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগে সন্তুষ্ট ছিলেন না। রাজনৈতিক কারণেই যেহেতু দেশান্তরী হতে হয়েছিল সেই লাখো মানুষকে, তাই সেখানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ছাড়া কোন কিছুকেই বিকল্প মনে করেন না এই সব নাগরিকরা। যাই হোক, এই কিউবা-আমেরিকা দ্বন্দ্ব বেশ পুরনো এবং চাইলে এ নিয়েই বড় একটি লেখা লিখে ফেলা যাবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিউবা’র তরফে কোন রকম দ্বন্দ্ব বা উসকানি ছড়ানোর ঘটনা ছাড়াই এই ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘটনা বর্তমানে ট্রাম্পের রাষ্ট্রনীতির আরো একটি উলট-পালট মূলক সিদ্ধান্তের উদাহারণ। কেননা, দায়িত্ব নেয়ার এখনো ছয় মাস হয়নি, কিন্তু তিনি এরই মধ্যে অনেকগুলি ঘটনা ঘটিয়েছেন আগের বিশ্ব ব্যবস্থায়। সেগুলি আসলেই বিশ্ব ব্যবস্থার আগের স্থিতি অবস্থাকে একটি সংকটে ফেলে দিয়েছে। আর এ কারণেই, ট্রাম্পেরিকা, ট্রাম্পায়ান, ট্রাম্পি ওয়ার্ল্ড নামক শব্দগুলি নতুনভাবে সংযোজিত হয়েছে সময়ের ডিকশনারিতে।
কিউবা’র সাথে এই সম্পর্ক ছিন্ন করার আগের সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে বেশ বড় ধরনের একটি গড়বড় করে ফেলেছে ট্রাম্প প্রসাশন। তার আগের সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো নিয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর আগের সাধারণ রীতি নীতি ভঙ্গ করে ফিলিপাইনের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট এর সাথে ফোনালাপ, উত্তর কোরিয়ায় নতুন যুদ্ধের হুমকি এগুলো তো আছেই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ প্রভাব বলয়ে থাকা জাতিসংঘ বেকায়দায় ফেলা, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য সহায়তামূলক চুক্তি নাফটা স্থগিতের ঘোষণাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপে, আগের প্রচলিত শব্দ গ্লোবালাইজেশন বা বিশ্বায়ন শব্দের কার্যকারিতা এরই মধ্যে বেশ ব্যাপক ভাবে খর্ব হয়েছে। সেগুলি নিয়েই এই আলোচনা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর প্রথম বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। সেখানে গিয়ে বড় বাণিজ্য হয়েছে তার। আগামি ১০ বছরে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার অস্ত্র বিক্রয় চুক্তি হয়েছে সৌদি আরবের সাথে। কিন্তু এর পর পরই সৌদি আরব, তার প্রতিবেশী ধনী রাষ্ট্র কাতারকে আশে পাশের কয়েকটি দেশকে দিয়ে একটি সর্বময় অবরোধ বা নিষেধাজ্ঞার কবলে ফেলেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই কুটনৈতিক দ্বন্দ্বের ক্রেডিট নিয়ে পরিস্থিতেকে ঘোলা করে তুলেছেন কাতার সহ অনেক দেশের জন্য। কাতারের নিজস্ব সেনাবাহিনী আছে মাত্র ১২ হাজার, আর সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের যে সামরিক ঘাঁটি আছে সেখানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ১২ থেকে ১৫ হাজার সেনা সদস্য। কাতার যারপরনাই বিচলিত হয়ে পরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেই আরো ১২ বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধ বিমান কিনেছে।
কার সাথে যুদ্ধ করার জন্য কিনেছে তা অবশ্য পরিষ্কার নয়, তবে তারা এখন নানা দিক দিয়ে তাদের সামরিক সামর্থ বাড়াচ্ছে। এর আগের প্রসাশন গুলো সৌদি আরবের সাথে সুসম্পর্ক রাখলেও কাতারে তাদের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছিল, অনেক বিষয়কে ছাড় দিয়ে হলেও মধ্যপ্রাচ্যে আই এস বিরোধী যুদ্ধে একজন শক্ত সহযোগী হিসেবে কাতারকে কখনই বিপদে ফেলে বাণিজ্য করেনি। সেই ধারা ভেঙ্গেছেন ট্রাম্প।
বাণিজ্য হয়েছে সৌদি আরবের সাথে, সেই বাণিজ্যের জোরে কাতারকে এক ঘরে করে দেয়ার পদক্ষেপে বাহবা নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, পরে আবার কাতারের কাছে অস্ত্র বিক্রয় করেছে। এই ঘটনায়, কাতার-তুরস্ক-ইরান-রাশিয়া একটি জোটে রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ তৈরী হয়েছে, কেননা আগে থেকেই তুরস্ক-রাশিয়া-ইরান সিরিয়া প্রশ্নে একটি জোটের ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ রেখেই। এখন, কাতারকে সাথে নিলে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এতদিনের একক প্রভাব বলয় বেশ ধাক্কা খাবে, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
সৌদি সফরের পর, ইউরোপের নেতাদের সাথে বৈঠক করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশ, যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার যৌথ সামরিক জোট ন্যাটোকে শক্তিশালী করার আগে, ন্যাটো পরিচালনায় পাওনা টাকা পরিশোধের ডাক দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই ডাক পছন্দ হয়নি জার্মানী-ইংল্যান্ড- ফ্রান্স সহ প্রভাবশালী দেশগুলোর।
ট্রাম্পের সামনে প্রকাশ্যে ভুরু কুঁচকিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন নেতারা। পরের সপ্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার পর জার্মানীর চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘আমেরিকার উপর নির্ভরশীলতা নয়, ইউরোপের নিরাপত্তা প্রশ্নে নিজেদের শক্তিশালী হতে হবে।’
অর্থাৎ ন্যাটো বেশ নড়বড়ে হয়েছে, অথবা ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের যে একক প্রভাব ছিল সেটা কমিয়ে দেয়ার পরিকল্পনায় আগাচ্ছে জার্মানী আর ফরাসি নতুন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো’র নেতৃত্ব। একদিকে ন্যাটোকে আঘাত করছেন তার প্রধান মুরুব্বি ডোনাল্ড ট্রাম্প, অন্যদিকে, যাকে প্রতিরোধ করার জন্যেই ন্যাটোর জন্ম সেই রাশিয়া বলকান অঞ্চলে তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেই চলেছে।
ইউক্রেনের শহর ক্রিমিয়া এরই মধ্যে দখলে নিয়েছে রাশিয়া, সেখান থেকে এখন বলকান অনেক দেশের সীমান্ত বরাবর সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। এই আচরণে ভয় পেয়ে নিশ্চয়ই ন্যাটো ভুক্ত দেশগুলো তাদের পাওনা পরিশোধ করে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের তহবিলে আরো বেশ কিছু বিলিয়ন ডলার জমা দেবে।
এই জমা’র সাথে অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইউরোপের দেশগুলির বিশ্বাসের জমাট আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এর আগে ব্রেক্সিট ভোটের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার সমর্থনে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফরাসি নির্বাচনে কট্টর অভিবাসন বিরোধী ল্যুপেনকে সমর্থন দিয়ে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ফ্রান্সকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন ট্রাম্প। এসব আচরণে নিশ্চয়ই জার্মানী ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকাকে আগের মত নিরেট বন্ধু ভাবছে না।
এর বাইরে, মেক্সিকো, কানাডা আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি রহিত করেছিলেন ট্রাম্প। সেটি নিয়েও প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে অবিশ্বাসের বড় দেয়াল রচিত হয়েছে কানাডা আর মেক্সিকোর সাথে। অভিবাসী বিরোধী রাজনীতি আর মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ নিয়ে ইতিমধ্যে মেক্সিকোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায়।
অর্থাৎ সব মিলিয়ে ট্রাম্পের এই প্রায় ছয় মাসের প্রেসিডেন্সিতে বিশ্ব ব্যবস্থা বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছে। অথবা, আরো বড় ধাক্কার মুখোমুখি হচ্ছে বেশ নিকট ভবিষ্যতেই। সেকারণেই আমেরিকার এতদিনের মোড়লিপনা আর বিশ্ব ব্যাবস্থা শাসন করার বিপরীতে বর্তমানের আমেরিকাকে অনেকই ট্রাম্পের আমেরিকা বা ট্রাম্পেরিকা বলতে শুরু করেছেন। যেই ট্রাম্পেরিকার ফসল হতে পারে বিশ্বায়ন শব্দের যুতসই বিকল্প ট্রাম্পায়ন। এই ট্রাম্পায়নে প্রচলিত বিশ্বব্যাবস্থার বড় ব্যবচ্ছেদ হতে চলেছে, যার প্রমাণ মিলতে খুব সহসাই।
কয়েক দশক ধরে বিশেষত দ্বিত্বীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যে বিশ্বব্যাবস্থা গড়ে উঠেছে সেটা আমেরিকার প্রভাব বলয়ের মধ্যেই। বিশ্বকে নিজের আয়ত্বে রাখতে কোথাও উদার নীতি কোথাও কৌশল আবার কোথাও কোথাও্ আমেরিকার জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে, ছাড় দিয়ে, অন্যদেরকে কিছুটা ভারসাম্যমূলক অর্থনীতির সুবিধা দিয়ে আমেরিকা এতদিন ধরে তার পররাষ্ট্রনীতি চালিয়ে আসছে।
বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, জাতিসংঘ সেসব বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ কৌশলের একেকটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান ছিল। নাফটার মত আঞ্চলিক ভিত্তিক নানা চুক্তিও ছিল সেসব কৌশলের অংশ। ন্যাটোর মত সামরিক জোট ছিল সেগুলির গুরুত্বপূর্ন অংশ। এই তত্ত্বের মুলকথা ছিল, বিশ্বকে একটি পরিবারের অর্ন্তভুক্ত করা। যেই পরিবারে কেউ দূর্বল থাকলে তাকে সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে অপেক্ষাকৃত টিকিয়ে রেখে একটি পারিবারিক শক্তি জোরদার করা।
অবাধ বাণিজ্যের মাধ্যমে ক্ষুদ্র এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা। এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ দিনের কূটনীতির ফসল, যেটিকে এখন ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রই ভেঙ্গে ফেলতে চাইছে। সেখানে, আমেরিকার নিজস্ব স্বার্থকে একেবারে উলঙ্গ ভাবে কড়ায় গণ্ডায় বুঝে নিতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সেই বুঝে নেয়ার অংশ হিসেবেই দেশে দেশে, এলাকায় এলাকায় যে স্থিতিবস্থার নীতিতে চলছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেখান থেকে বেশ সরে আসতে শুরু করেছে। নিজেদের অর্থনৈতিক শ্লথ গতি বা দৈন্যদশার মুক্তি ঘটাতেই এইসব পদক্ষেপ। কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটলেও এতদিনের যে প্রচলিত বিশ্বব্যবস্থা সেটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের একক নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে আবার ৬০ এর দশকের কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ু যুদ্ধের সময়ে এসে ঠেকেছে। কিউবার সাথে সাম্প্রতিক সম্পর্ক ছিন্ন করনকে সেই কোল্ড ওয়ার যুগের আগমন বলেই বলছে স্থানীয় বিশ্লেষণগুলো।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবারই বলেছিলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চাই, সারা বিশ্বের প্রেসিডেন্ট হতে চাই না। দায়িত্ব নেবার পর বিশ্বের নানান দেশের উপর মোড়লিপনার কূট কৌশলগুলি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার নানা পদক্ষেপ যেমন তার সেই অঙ্গীকারের ফসল, তেমনি আমেরিকাকে আবার ষাটের দশকের রাজনীতিতে ফিরিয়ে নেয়াও সেই পদক্ষেপের ফসল। যেখানে দখলদারিত্ব, একক বাণিজ্য আর অভ্যন্তরীণ ভাবে সকল বৈজ্ঞানিক গবেষণা আর সরলীকরণকে অস্বীকার করেই চালাতে চাইছেন তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে।
তিনি হয়তো ভেবেছেন বিশ্ব আসলেই আধমরা অবস্থায়। সেই আধমরা বিশ্বকে বড় বড় ঘা দিচ্ছেন। তাতে এই বিশ্বব্যাবস্থা জেগে উঠবে নাকি অস্থিতিশীলতা আরো বেড়ে যাবে সেটা সময় বলে দেবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, আঞ্চলিক আর বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার গতি বাড়তে শুরু করেছে এসব পদক্ষেপে। বাকীটা সময়ের বিশ্লেষণেই বলা যাবে।
নিউইয়র্ক ২৪ জুন
সাহেদ আলম : সাংবাদিক।