শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে রাজনৈতিক সমঝোতার বিকল্প নেই

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
জুলাই ২৯, ২০২৩
news-image

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক পরিবেশ মূল্যায়নে নাগরিক সংলাপের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর মোর্চা ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। সংলাপে অংশ নিয়ে আলোচকরা বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার বিকল্প নেই। সংঘাত, বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের সমর্থন অর্জন করা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তারা।শনিবার (২৯ জুলাই) বিকালে গুলশানের একটি হোটেলে ‘নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক পরিবেশ মূল্যায়ন’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন।ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলীর সভাপতিত্বে নাগরিক সংলাপে অংশ নেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক টিমের প্রতিনিধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মি. টেরি এল ইসলে, আয়ারল্যান্ড হতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক বিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক নিক পউল, জাপানে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী মি. ইউসুকী সুগু এবং চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক এন্ডি লিন।

নাগরিক সমাজের পক্ষে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, সাবেক সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এমরান জাহান, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মজুমদার, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. মাসুম চৌধুরী ও কৃষিবিদ ড. আজাদুল হক প্রমুখ।

এছাড়াও অংশ নেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক বুয়েটের উপ-উপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খান ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ। নাগরিক সংলাপে আলোচকরা বলেন, নির্বাচন ও ভোট বিপ্লব ছাড়া অন্য সব উপায় হচ্ছে গণতন্ত্র পরিপন্থী। কূটনৈতিকদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্যের সুযোগ করে দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত উল্লেখ করে তারা বলেন, এতে জনগণের প্রতি রাজনীতিবিদদের আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং দেশের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়।আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে এমনটা প্রত্যাশা রেখে তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের যে আইন ও বিধিমালা রয়েছে এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে, এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর স্বদিচ্ছা ও সহযোগিতা।