বাংলাদেশী যুবকের প্রেমের টানে ব্রিটিশ তরুণী বাংলাদেশে!
মেয়েটির নাম ক্যাটরিনা স্যান্ড্রা (কাসা)। সে পোল্যান্ডের অধিবাসি। থাকে লন্ডনে। চাকুরী করে। বাবা নেই মারা গেছেন। মা আছেন পোল্যান্ডে।
ছেলেটি আমাদের এই সবুজের দেশ বাংলাদেশের ছেলে। নাম শামীম আহম্মদ। বাড়ী রাজারবাগ। বাবা সরকারী চাকুরীজীবী। শামীম অনেক চেষ্টা করে লন্ডনে পড়তে গিয়েছিলো।
সেখানে পড়ালেখা করে বাবা কে সাহায্য করার জন্য লুকিয়ে চাকুরী করতো কিন্তু এইভাবে লুকিয়ে কতদিন? এর ভিতরেই তার সাথে এফবি তে পরিচয় হয় কাসার সাথে। তারা শুধুই বন্ধু, কেউ কাউকেই দেখেনি।
এদিকে শামীমের জন্য লন্ডনে এইভাবে লুকিয়ে থাকা বিনা চাকুরীতে আর সম্ভব হচ্ছিলো না তাই সে দেশে ফেরার জন্য ওখানকার পুলিশের কাছে ধরা দেয়।
কাসা দুইদিন শামীমের খবর না পেয়ে খুঁজতে থাকে। এক সময় কাসা পৌছে যায় শামী (শামী কাসার দেয়া নাম) যেখানে থাকতো সেইখানে জানতে পারে সব। এর পর কাসা ছুটে যায় জেলখানায় শামী র কাছে।
কাসা শামী কে বলে, তুমি কি আমাকে তোমার ফ্রেন্ড ভাবলে এক রকম আর যদি তোমার জীবনে জড়াতে চাও তাহলে আলাদা। শামী বলে তার মা বাবা আছেন উনারা যা বলবেন তাই হবে। শামী র কথা শুনে কাসা মুগ্ধ হয় কারন এখনো আমরা মা বাবাকে প্রাধান্য দেয়।
কাসা শামী র বাবার সাথে কথা বললে বাবা বলেন যাতে শামীমের ভালো হবে তাই করুক। এরপর কাসার চেষ্টা তে শামী কে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কথা ছিলো কাসা বাংলাদেশে আসবে ১.৭.১৭ তে। কিন্তু সে আসেনি তাই সবাই ধরে নেই আসবে না সে আর।
কিন্তু গত ৫.৮.১৭ বিকেল ৪ টায় কাসা বাংলাদেশে চলে আসে। পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার কারনে কাসা কে নিয়ে আমাদের বাসায় এসে শামীমের সাথে কাসার বিয়ে হয় গতকাল ৬.৮.১৭ ইং রাত ১১.৪৫ টাতে। বিয়ের আগে কাসা নিজের ইচ্ছায় মুসলমান হয়। চলে যাবে আগামী ১৬.৮.১৭ ইং।
দেশে গিয়ে সে সেখান থেকে শামীর কাগজ রেডি করে আগামী নভেম্বরে এসে শামীম কে নিয়ে যাবে। আপনারা সবাই এই নতুন দম্পতীর জন্য দোয়া করবেন প্লিজ । তারা যেন জীবনে সুখি হয়।