All posts by lutfor

বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ইইউ প্রতিনিধি দলকে বদিউল আলম মজুমদার

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন। রােববার গুলশানে ইউরোপ ইউনিয়নের কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন তিনি। রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এক ঘণ্টার বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন তারা। বৈঠক শেষে ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, ইইউ প্রতিনিধি দল আগামী জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে প্রতিনিধিদের জানিয়েছে সুজন। সুজন সম্পাদক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা সম্ভব না। বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, বড় রাজনৈতিক দলের অনড় অবস্থান দেশকে বিপদে নিয়ে যাবে।

মানি লন্ডারিং মামলায় জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ড

মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় যুবলীগের কথিত নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি ৭ আসামির প্রত্যেকে চার বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন।

সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। ৪ বছর করে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।

এর আগে ১৫ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৫ জুন দিন ধার্য করেন। গত ২৫ জুন মামলার রায় ঘোষণা ও অধিকতর যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবী অধিকতর যুক্তি উপস্থাপন করেন। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মামলার রায় ঘোষণা ১৭ জুলাই নতুন দিন ধার্য করেন।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। নিকেতন এ-ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাড়িতে তার অফিসে র্যাব দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। তার কার্যালয় থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।

এরপর জি কে শামীমের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। অস্ত্র আইনের মামলা নম্বর ২৮(০৯)১৯, মানি লন্ডারিং আইনের মামলা নম্বর ২৯(৯)১৯ ও মাদক আইনের মামলা নম্বর ৩০(৯)১৯। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে নিজ নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে আসছিলেন। বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন।

মামলা তদন্ত সূত্রে জানা যায়, জি কে শামীম ও তার পরিবার বাংলাদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে মজুত রেখেছে। এছাড়া আসামি যেকোনো সময় মজুত করা অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রক্রিয়া নিতে পারে। মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের স্বার্থে অপরাধলব্ধ আয় সংক্রান্ত ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। আসামির অপরাধলব্ধ আয় অবরুদ্ধ না হলে ব্যাংক হিসাবে জমা করা অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে আইনের উদ্দেশ্যে ব্যাহত হতে পারে। ওই হিসাবগুলোতে কয়েকশ’ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানা যায়।

ভিসানীতি নিয়ে মাঠ গরম করে নিজেদের জালেই আটকে গেছে বিএনপি: কাদের

মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করে বিএনপি এখন নিজেদের জালেই আটকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা এতদিন ভিসানীতি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করেছেন। আর এখন বলছেন কোন দেশের ভিসানীতিতে কী আছে না আছে, দেখতে চাই না। আসলে বিএনপির সৃষ্ট ষড়যন্ত্রের জালে তারা নিজেরাই আটকে গেছে।রোববার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ। ওয়ান-ইলেভেনের অসাংবিধানিক ও অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের এই দিনে বেআইনি ও অযৌক্তিকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করে। সেদিন শুধু শেখ হাসিনাকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, অবরুদ্ধ করা হয়েছিল দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণদাবির মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ তাদের আস্থা ও নির্ভরতার ঠিকানা শেখ হাসিনাকে মুক্ত করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আজ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখি-সমৃদ্ধশালী শান্তিপূর্ণ-কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন ভিসানীতি প্রকাশের পর বিএনপি নেতারা অতিশয় আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিলেন। সরকার এবং দেশের জনগণের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করে নিজেদের অপরাজনৈতিক অভিলাষ বাস্তবায়নের উন্মাদনায় মেতে উঠেছিল। বিএনপির সন্ত্রাস ও সহিংস রাজনীতির অপতৎপরতা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ায় তারা এখন উল্টো সুরে কথা বলতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন হলো যেনতেনভাবে ক্ষমতা দখলের আন্দোলন। এই আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে তারা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। বিএনপির আন্দোলন মানে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা। যারা জনগণকে শত্রু জ্ঞান করে তারা কখনো জনগণের আস্থা পায় না।

বিএনপি ভাড়াটিয়া সাইবার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অপপ্রচারের অপকৌশল আরও তীব্রতর করেছে দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চর্চা করে আসছে। তারা সত্যকে যেমন ভয় পায়, তেমন দেশের জনগণ এবং সংবিধান ও আইন-আদালতকে ভয় পায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন দেশ নাকি ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আছে! আসলে বিএনপির রাজনীতিই আজ ধ্বংসের শেষ প্রান্তে। তাদের মিথ্যাচারের ফাঁপা বেলুন এরই মধ্যে চুপসে যেতে শুরু করেছে। তারা সরকার বিরোধিতার নামে দেশবিরোধিতায় লিপ্ত। তারা চায় শুধু ক্ষমতা! তারা ক্ষমতা চায়, কিন্তু নির্বাচনে ভয় পায়। তাই তারা অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

নির্বাচনের আগে সরকার ইচ্ছামতো প্রশাসন সাজাচ্ছে: ফখরুল

নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসন যন্ত্রকে সরকার নিজেদের মতো করে সাজাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এখন নির্বাচনের আগে নিজেদের লোকদের প্রশাসনের বিভিন্ন পদে বসাচ্ছে। মন্ত্রীদের পিএসদের ডিসি করছেন, নিজেদের লোকদের ইউএনও করছেন। রোববার (১৬ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউরি সংলগ্ন নুর আহমদ সড়কে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের ‘মেহনতী শ্রমিক জনতার মহাসমাবেশে’ প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, সারাদেশের মানুষ এখন অবৈধ, লুটেরা, মাফিয়া সরকারের কাছে বিদায়ের বার্তা দিতে চায়। স্বৈরাচারের পতন, অত্যাচারীর পতন চায় দেশের জনগণ। চট্টগ্রাম সংগ্রাম তীর্থ। চট্টগ্রামের মানুষ অবৈধ লুটেরা সরকারকে কী বার্তা দিতে চায় তা সারাবিশ্বে পৌঁছে দিতে হবে। চট্টগ্রামের মানুষ কখনো মাথা নত করেনি। চট্টগ্রামের মানুষ মাথা উঁচু করে বৃটিশের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে, এ মাটি থেকে মাস্টার দা, প্রীতিলতা সংগ্রাম করেছেন, জিয়াউর রহমান এ চট্টগ্রামের মাটি থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ লালদীঘি ময়দান থেকে ১৯৮৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিলেন।জনগণের আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ওই মইনুদ্দীন ফখরুদ্দীনের সঙ্গে আঁতাত করে গোপনে গোপনে ফন্দি করে জোর করে ক্ষমতায় এসেছিল, সেদিন থেকেই আমাদের লড়াই শুরু হয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছিল, দেশকে মুক্ত করার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

তিনি বলেন, ১০ টাকার চাল খাওয়ানোর কথা বলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। এখন সেই চালের কেজি ৯০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। দেশের মানুষ শান্তিতে নেই। চাকরি নেই। মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকারের হাতে আর কোনো সময় নেই। তাদের শেষ সময় চলছে। আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি। আবারও বলছি, ভালো ভালোয় পদত্যাগ করেন, সংসদ ভেঙে দেন। ভালোয় ভালোয় পদত্যাগ করে মানুষকে মুক্তি দিন, না হয় জনগণ তাদের হারানো ভোটাধিকার আদায় করে নিতে বাধ্য হবে।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার, নির্দলীয় সরকার থাকলে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত হতে পারবে না। এটা বুঝতে পেরেই পার্লামেন্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান বাতিল করা হয়। নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আকড়ে ধরতে চায়। কিন্তু জনগণ এটা হতে দেবে না।ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আট বছর কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন সংগ্রাম করেছেন। রাষ্ট্র মেরামতের জন্য আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান এ ৩১ দফা দিয়ে আমাদের একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বন্দুক দিয়ে, হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে আর কাজ হবে না। অনেক অপরাধ করেছেন, জুডিশিয়াল কিলিং করেছেন, ১ লাখ ২৪ হাজার গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করেছেন। কেউ ক্ষমতায় চিরস্থায়ী থাকতে পারেনি। এরশাদও স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতায় থাকতে পারেননি, আপনিও (শেখ হাসিনা) পারবেন না। ক্ষমতার এ মসনদ কারও জন্য পারমানেন্ট নয়। মানে মানে সরে পড়েন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিন, বরকতউল্লা বুলু, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাসেম বক্কর, শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, বান্দরবান বিএনপির সভাপতি ম্যামাচিং, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দল সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এক মিলিয়ন পর্যটকে স্বাগত জানালো মালদ্বীপ

দ্বীপ দেশ মালদ্বীপে এক মিলিয়ন পর্যটকের আগমনকে স্বাগত জানিয়েছে। মালদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার (১৬ জুলাই) এক মিলিয়ন পর্যটককে স্বাগত জানাতে মালদ্বীপের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (ভিআইএ-তে)। একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

রাশিয়ার মস্কো থেকে আগত, আন্তন পাভলো তার সঙ্গী আনাস্তাসিয়া ক্লিনস্কি এবং তাদের মেয়সহ রোববার ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে মালদ্বীপে পৌঁছেছেন। এটি মালদ্বীপে তাদের প্রথম সফর, তারা বলেন আমরা এমন  সংবর্ধনা পাবো এইটা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিলো, যা আমাদের নতুন অভিজ্ঞতা। আন্তন পাভলো পরের বছর দুই মিলিয়ন ভ্রমণকারী হিসেবে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

আন্তন ও তার পরিবার বিলাসবহুল বি ভাকারু মালদ্বীপ রিসোর্টে দুই সপ্তাহ থাকবেন।মালদ্বীপ সরকার এবং প্রিমিয়ার ট্যুরিস্ট বোর্ড, মালদ্বীপ মার্কেটিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স কর্পোরেশন (এমএমপিআরসি) এই ধরনের উল্লেখযোগ্য আগমনের মাইলফলক উদযাপন করে থাকে। এই বছর মালদ্বীপে এক মিলিয়ন পর্যটকের আগমন মাইলফলক উদযাপন করেছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, (এমএমপিআরসি) মালদ্বীপ এয়ারপোর্টস কোম্পানি লিমিটেড (এমএসিএল) এবং মালদ্বীপ ইমিগ্রেশনের সাথে মন্ত্রণালয় এক মিলিয়ন পর্যটক আগমন উপলক্ষে একটি বিশেষ স্বাগত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।মালদ্বীপে প্রতি বছর প্রথম পর্যটক আগমনের দিন পাশাপাশি সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করার রীতি রয়েছে।

এদিকে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট গত ফেব্রুয়ারিতে একটি অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালের জন্য ১.৮ মিলিয়ন পর্যটকের আগমন লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছিল। যেহারে দৈনিক ভিত্তিতে মালদ্বীপে পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে  বছরের শেষে শীর্ষ পর্যটন মৌসুমের কারণে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী মালদ্বীপ সরকার।

দ্বীপ দেশ মালদ্বীপে ১৯৭২ পর্যটনের সূচনা হয়েছিল। ৫০ বছর ধরে উদ্যমী ভ্রমণকারীরা মালদ্বীপ ভ্রমণ করছে যা বছরের পর বছর ধরে এর মনোরম সৌন্দর্য দিয়ে ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করছে মালদ্বীপ।মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম মোহাম্মদ সোলিহ আশাবাদী, ২০২৮ সালের মধ্যে মালদ্বীপে বছরে ৩.৫ মিলিয়ন পর্যটক ভ্রমণ করবে।

উল্লেখ গত বছর, ১.৬ মিলিয়ন পর্যটক মালদ্বীপে ভ্রমণ করেছে। যা ২০২১ সালে ছিলো  ১.৩ মিলিয়ন।মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে গত বুধবার পর্যন্ত  ৯৮৪,৬৩৫ জন  পর্যটক মালদ্বীপে ভ্রমণ করেছে। এ বছর এখন পর্যন্ত প্রতি মাসে পর্যটকদের আগমন পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মালদ্বীপে এখন প্রতিদিন গড়ে ৫১০২ জন পর্যটক ভ্রমণ করতে  আসে। পর্যটকরা গড়ে ৮ দিন মালদ্বীপে থাকেন। এ বছর এখন পর্যন্ত মালদ্বীপে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসে ভারত থেকে, ১১৫৮৩৭ জন । তারপরের স্থানে  রয়েছে রাশিয়া, এসেছে ১১৫৩৩৪ জন। ইউকে থেকে ৮৩৯৪২ জন, চীন থেকে ৭৪৩৪৮ জন, এবং জার্মানি  থেকে এসেছে ৬৪৪৮৪ জন।

পর্যটকদের থাকার জন্য মালদ্বীপে  ৬০ হাজার ৯৪২টি রুমসহ ১২৫১টি পর্যটন সুবিধা রয়েছে। পর্যটকদের জন্য ৩৮টি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স মালদ্বীপে নির্ধারিত ফ্লাইট পরিচালনা করে।

ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ তহবিলের আকার বাড়লো

বাড়ানো হয়েছে ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আকার। তহবিলটির পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। আগে এই তহবিলের আকার ছিলো ১০০ কোটি টাকা।রোববার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, দেশের সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে তাদেরকে স্বল্প সুদে ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ বা বিনিয়োগ প্রদান এবং সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যে ইতঃপূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়। এই তহবিলের আকার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সম্প্রসারণ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত ও উৎসাহিত করার মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এই তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল গঠন করে। এই তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। এই ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৬ মাস। এ তহবিল থেকে ডিজিটাল মাধ্যম (ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপস, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ই-ওয়ালেট ইত্যাদি) ব্যবহার করে তফসিলি ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হবে।

জাপানি মায়ের জিম্মায় থাকবে জেসমিন ও লাইলা

বাংলাদেশি বাবা ও জাপানি মায়ের সেই দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় রাখার আদেশ দিয়েছেন ঢাকা জেলা জজ আদালত। রোববার (১৬ জুলাই) ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া বাবার আপিল খারিজ করে এ রায় দেন।

গত ৬ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ইমরান শরীফের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসিমা আক্তার লাভলী জাপানি দুই শিশু কার জিম্মায় থাকবে- এ সংক্রান্ত আপিল শুনানিতে বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করেন। পর ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে খারিজ করেন হাইকোর্ট।ফলে ঢাকা জেলা জজ আদালতে জাপানি দুই শিশু কার জিন্মায় থাকবে- এ সংক্রান্ত আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এখানেও বাবার আপিল খারিজ করে মার জিম্মায় দুই শিশুকে রাখার আদেশ দেন।

এর আগে গত ৯ মার্চ জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে বিদেশে নিয়ে যেতে জাপানি মায়ের আবেদন নাকচ করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দুই শিশু কার জিম্মায় থাকবে এ সংক্রান্ত আপিল জেলা জজ আদালতকে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত। এ সময় পর্যন্ত দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা যেভাবে আছেন সেভাবেই থাকবে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।

ওইদিন আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেছিলেন, আপিল বিভাগের অনুমতি ছাড়া দুই সন্তানকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না, এই আদেশের বিরুদ্ধে একটি সিভিল রিভিউ পিটিশন ও একটি এক্সপাঞ্জ চেয়ে আবেদন করেছিলেন জাপানি মা। আপিল বিভাগের আগে একটি আদেশ ছিল আপিল বিভাগের অনুমতি ছাড়া দুই সন্তানকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এটা যেন আদেশ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য আবেদন করেছিলেন জাপানি মা। বাবা ইমরান শরীফ নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। কারণ জাপানি মা দুইবার চেষ্টা করেছেন শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার। মা নাকানো এরিকোও একটা আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। কারণ বাবা ইমরান একটি শিশুকে তার কাছে নিয়ে এসেছিলেন। এ কারণে তিনি এ আবেদন করেছিলেন। এই চারটা আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশে বলেছেন, মা নাকানো এরিকো যেন শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা না করে। একইসঙ্গে জেলা জজ আদেশ দিলেন শিশুদের জিম্মায় রাখা সংক্রান্ত আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার। এছাড়া আরেকটা নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটা হলো স্ট্যাস্টাকো (স্থিতিবস্থা) মেনে চলার। যার অর্থ এখন যে অবস্থায় আছে,সেই অবস্থাটা মেনে চলতে হবে যতদিন পর্যন্ত জেলা জজ আদালতে থাকা আপিলটা নিষ্পত্তি না হয়। এর অর্থ দুই শিশুকে দেশের বাইরেও নেওয়া যাবে না। তারা যে যার কাছে আছে, সেখানেই থাকবে।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ ও জাপানি মা নাকানো এরিকোর দুই শিশুকে জাপানি মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নাবালিকা দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা কোথায় থাকলে কল্যাণ হবে সেদিক বিবেচনায় রেখে এ রায় দেওয়া হয়। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান এ রায় দেন।

আদালতের পর্যবেক্ষণ:রায়ে আদালত বলেছেন, মামলা করার কারণ আদালতের কাছে প্রমাণ করতে পারেনি বাদীপক্ষ। বরং আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, জাপান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা দুই শিশুর বেড়ে ওঠা জাপানে। সেখানে তারা লেখাপড়া করেছে। তাদের মা নাকানো এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনটি সন্তান জন্মের পর মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে সন্তানদের পাশে ছিলেন। পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, জাপানে বেড়ে ওঠা দুই শিশুর প্রাথমিক শুশ্রূষাকারী তাদের মা নাকানো এরিকো। অথচ তাকে কিছু না জানিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে আইনগত প্রক্রিয়া ছাড়া হঠাৎ অন্য একটি দেশে নিয়ে আসাটা মাতৃত্বের বিশ্বজনীন ও সর্বজনীন রূপটিকে অসম্মান করার নামান্তর।

রায়ে আদালত আরও বলেছেন, বাবা হিসাবে ইমরান শরীফ নাবালিকা দুই সন্তানের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার পূর্ণ হকদার। তবে জাপানি মায়ের কাছে দুই নাবালিকার হেফাজত তাদের শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক, তথা সার্বিক মঙ্গলজনক বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।এই রায়ের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে আপিল করেন বাবা ইমরান শরীফ।

পাহাড়ি ঢলে যমুনায় পানি বাড়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। এ পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে পাট, তিল, কাউনসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এবার বন্যার আশংকা রয়েছে। জেলা প্রশাসন বন্যা নিয়ন্ত্রন কক্ষ খুলেছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) রনজিত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে।

এতে শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেঃ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার তীরবর্তী নি¤œাঞ্চলের বহু বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে এবং কাঁচাসড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এতে বহু পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষ করে যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুরসহ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার অনেক স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কাজিপুরে সলিড স্পার ও যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের প্রায় ২’শ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ভাঙ্গন ও ধস রোধে স্থানীয় পাউবো রাতদিন কাজ করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। তবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানানো হয়েছে।

মেসি আসায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে দলের : টাটা মার্টিনো

প্রায় দুই মাসের বেশি সময় পার হলেও লিগে জয় পাচ্ছে না ইন্টার মায়ামি। গোল করতে আর ম্যাচ জিততে যেন ভুলেই গিয়েছে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের দলটি। দলে নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে অভিজ্ঞ আর্জেন্টাইন জেরার্ডো টাটা মার্টিনোকে। তবে তাকে এনেও সুফল পাচ্ছেনা তারা। অবশ্য মাঠের পারফর্ম ভালো না হলেও মাঠের বাইরে সময়টা বেশ ভালোই কাটছে তাদের। নতুন করে বিশ্বসেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসিকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। এসেছেন মেসির বার্সা সতীর্থ সার্জিও বুসকেটস। দলীয় কোচ মার্টিনোর বিশ্বাস, মেসির আগমনে তার দলে আত্মবিশ্বাস অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে।

নিজেদের শেষ ম্যাচে সেইন্ট লুইসের কাছে হারার পর এই কোচ বলেন, ‘প্রথমত আমরা অনেক খুশি লিওনেল মেসির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে। তবে আমরা চেয়েছিলাম তার প্রেজেন্টেশনের দিনে তাকে একটা জয় উপহার দিতে। কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি। এখন ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছি। বিশ্বসেরা একজন ফুটবলার দলে থাকা মানে দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাওয়া। এখন আমাদের লক্ষ্য তাকে ভালোভাবে প্রস্তুত করে সঠিক সময়ে ব্যবহার করা।

এদিকে লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেয়ায় উচ্ছ্বসিত উত্তর আমেরিকা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল বদলে দেয়ার ক্ষেত্রে মেসি বড় ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করেন কনকাকাফ সভাপতি ভিক্টর মোন্টাগ্লিনি।

ভিক্টর মোন্টাগ্লিনি বলে, ‘সবাই আমাদের এই অঞ্চলকে ফুটবলের ভবিষ্যৎ হিসেবে দেখছে। তবে, আমাদের লিগের মান, বা ক্লাবগুলোর অবস্থানের থেকেও বর্তমানে মেসিকে নিয়ে আমরা বিশ্বে আলোচিত। এটা কেবল শুরু। এছাড়া লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেয়া একটা দারুণ ব্যাপার। সে শুধু বিশ্বসেরা ফুটবলারই নন। তিনি ফুটবলের দূত। এটা আমাদের লিগের মান অনেক বাড়িয়ে দিবে। আপনি দেখেছেন তাকে দেখার জন্যই কি পরিমাণ টিকিট বিক্রি হয়েছে। ছাদে উঠে খেলা দেখার জন্যও মানুষ টিকিট নিচ্ছে।

এদিকে, মেসির সঙ্গে ২ বছর ৬ মাসের চুক্তি সম্পন্ন করেছে ইন্টার মিয়ামি। দশ নাম্বার জার্সিতে তাকে ক্লাবে বরণ করে নেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত থাকবেন এই আর্জেন্টাইন। আগামী ২১ আগস্ট ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে এলএমএসের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে মেসির।

ঢাবি’র বিশেষ সমাবর্তন : ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দেওয়া হবে বঙ্গবন্ধুকে

আগামী অক্টোবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ (মরণোত্তর) ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ সাহাবুদ্দিন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন গর্বিত শিক্ষার্থী ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমাবর্তন-বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।  রোববার (১৬ জুলাই) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সমাবর্তন-বক্তার অক্টোবর মাসের সুবিধাজনক যেকোন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই বিশেষ সমাবর্তন আয়োজন করা হবে।বঙ্গবন্ধু, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা। এসব বিষয়ে নতুন প্রজন্মের সামনে বক্তব্য উপস্থাপনে বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অদ্বিতীয়। তাই জাতির পিতাকে ডিগ্রি প্রদানের বিশেষ সমাবর্তনে তাঁকে সমাবর্তন-বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণের সুপারিশ করার জন্য উপাচার্য, ডিন্স কমিটি এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দকে সিন্ডিকেট সভায় ধন্যবাদ জানানো হয়।