মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাজারে জমজম কূপের পানি বিক্রি বন্ধ

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
news-image

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ খোলা বাজারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত পবিত্র জমজম কূপের পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেন।

বায়তুল মোকাররম মার্কেটের যেসব দোকানে এই জমজম কুপের পানি বিক্রি হয় সেসব দোকানী, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে ভোক্তার ডিজি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, খোলা বাজারে এটা কিভাবে এলো, কিসের উপর ভিত্তি করে আপনারা এই পবিত্র পানি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছেন। কোথায় থেকে, কাদের মাধ্যমে এই পানি আপনাদের হাতে আসছে। এই সব বিষয় নিয়ে এবং বাণিজ্যিকভাবে এই পবিত্র পানি বিক্রির বিষয় নিয়ে আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে বসবো। আর আপনারাও এই জমজমের পানির বিক্রির উৎস সম্পর্কে মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন। তার আগ পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ খোলা বাজারে জমজম কুপের পানি বিক্রি বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, নির্দেশনা অমান্য করে যদি এরপরও কোনো ব্যবসায়ী এই পবিত্র পানি বিক্রি করেন তাহলে সেই দোকান আমরা সীলগালা করে দিবো। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ এটা নিয়ে কাজ করবে। এছাড়া ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও যারা জমজম কুপের পানি বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ দিকে গতকাল বায়তুল মোকাররম মার্কেটে জমজমের পানি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হচ্ছে জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেই অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে ছদ্মবেশে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করি। পরে দাম জিজ্ঞেস করলে ব্যবসায়ীরা জানান- ছোট বোতল ৩০০ আর ৫ লিটারের পানি ২৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। কিন্তু পানির উৎস কোথায়, কে দিল তারা তা জানায়নি। এর ফলে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিই আমরা।

অপর দিকে সেমিনারে অংশ নেওয়া বায়তুল মোকাররম মার্কেটের এক ব্যবসায়ী সুলতান কবির বলেন, হজ থেকে ফেরা মোয়াল্লেমরা জমজমের পানি মার্কেটে দেয়। এরপর পাইকারি মার্কেট থেকে আমরা কিনে এনে বিক্রি করি। তবে এখন যেহেতু নতুন ঘোষণা এসেছে ফলে সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত আমরা জমজমের পানি বিক্রি করবো না। উল্লেখ্য, সেমিনারে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাসহ বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।