ঝুলন্ত তার অপসারণ করে ঢাকাকে জঞ্জালমুক্ত করা হবে : আতিক
ঢাকা শহরে যত ঝুলন্ত তার রয়েছে তা অপসারণ করে একটি জঞ্জালমুক্ত নগরী গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশেনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বর থেকে অবৈধ ঝুলন্ত তার অপসারণ কাজের উদ্বোধনকালে এ কথা বলে তিনি।
মেয়র বলেন, ‘তারের জঞ্জাল আজ থেকে ১০ বছর আগে যে অবস্থা ছিল, এখনো একই অবস্থা। কিন্তু এই শহরকে এভাবে চলতে দেয়া যায় না। মনে হচ্ছে ঝুলন্ত তার মানেই ঢাকা শহর, ঢাকার আসল চিত্র। কিন্তু ঢাকার এই চিত্র আমরা কেউ দেখতে চাই না। তাই আমি গত কোরবানির ঈদের আগে বলেছিলাম, ১ অক্টোবর থেকে আমরা ঝুলন্ত তারগুলোকে নামিয়ে দেবো।’
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) গুলশান এভিনিউতে ঝুলন্ত তার অপসারণের মাধ্যমে (পাকিস্তান অ্যাম্বেসি থেকে শুটিং ক্লাব পর্যন্ত) ডিএনসিসি এলাকায় ঝুলন্ত তার অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ সময় মেয়র বলেন, ‘আমরা ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এর সাথে সভা করেছি, সবাইকে নিয়ে সিরিজ অফ মিটিং করেছি, সমস্যাটি সমাধানের জন্য। যখনই মিটিং করছি, এনটিটিএন, আইএসপিএবি, কোয়াবের সাথে, যখনই মিটিং শুরু করি, মনে হয় একজনের সাথে আরেকজনের শত্রুতা। আইএসপিএবি দোষ দেয় এনটিটিএনকে, এনটিটিএন দোষ দেয় কোয়াবকে।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, এখানে এনটিটিএন কাজ করছে না, আমি মনে করছি এটি এনটিটিএন এর ব্যর্থতা। তারা ১০ বছর যাবৎ লাইসেন্স নিয়েছে, তারা কেন মাটির নিচ দিয়ে লাইন নেয় নাই? সুতরাং আমি সাব্যস্ত করেছি, তাদের সাথে মিটিং করে, রাস্তার পাশে যে সসার ড্রেনগুলো আছে এগুলোর নিচ দিয়ে পাইপ বসিয়ে দেবো। উনারা রাজি হয়েছেন। এ বাবদ ডিএনসিসিকে তারা ভাঙা দেবেন। আমি ইতিমধ্যে প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি, যত নতুন রাস্তা হবে, সেই রাস্তাগুলোর নিচ দিয়ে লাইন নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা রাখা হবে। আমরা চাই একটা স্থায়ী সমাধান।
তিনি জানান, গুলশান এভিনিউর তার অপসারণের পরে গুলশান ১ থেকে রাস্তার পূর্ব ও পশ্চিম পাশে, গুলশান ২ থেকে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে সকল তার অপসারণ করা হবে।
ঝুলন্ত তার অপসারণকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, কোয়াব-এর সভাপতি এস এম আনোয়ার কবির, আইএসপিএবি’র সভাপতি মো. আমিনুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন।