শনিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোমবার থেকে ইসরায়েল-আমিরাতের বিমান চলাচল শুরু

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
আগস্ট ২৮, ২০২০
news-image

সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তিতে পৌঁছানোর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। সোমবার ইসরায়েল থেকে আমিরাতের উদ্দেশে ই-১ এ-১ এর একটি বিমান যাত্রা শুরুর মাধ্যমে আকাশপথে দুই দেশের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ শুরু হবে।

শুক্রবার ইসরায়েলি বিমানসংস্থা ই-১ এ-১ এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।এতে বলা হয়েছে, তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজনৈতিক রাজধানীখ্যাত আবু ধাবির মধ্যে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে সোমবার (৩১ আগস্ট)।

মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাণিজ্যিক এই ফ্লাইটে দুই দেশের মাঝে চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালনকারী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগীরা আমিরাতে পৌঁছাবেন। ই-১ এ-১ এর ফ্লাইটে মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারও থাকবেন।

বিমানটি তেলআবিব থেকে সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় আমিরাতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। গত ১৩ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই দেশের মাঝে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেন।

ই-১ এ-১ এর ওই মুখপাত্র বলেছেন, পরদিন (মঙ্গলবার) সকালে আবু ধাবি থেকে তেলআবিবের উদ্দেশে বিমানের ফ্লাইটটি ফেরার কথা রয়েছে। ইসরায়েলের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (আইএআই) ওয়েবসাইটে এই বিমান চলাচলের সময়ের ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আকাশপথে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক কোনও যোগাযোগ নেই। তবে বিমান পরিবহনের সময় কমিয়ে আনতে সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করা হবে কিনা সেবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের আকাশপথে কোনও যোগাযোগ নেই।মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ফ্লাইটের সঠিক রুট এবং অবতরণের সময় নির্ধারণের ব্যাপারে এখনও কাজ চলছে।

এর আগে, গত মে মাসে ইতিহাদ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ফিলিস্তিনিদের করোনাভাইরাস চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার উদ্দেশে আমিরাত থেকে তেল আবিবে যায়। এটিই ছিল আমিরাতের কোনও বিমানসংস্থার ইসরায়েলে প্রথম ফ্লাইট।গত ১৩ আগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরায়েল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তিতে পৌঁছেছে তারা।

পরে যৌথ এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা শিগগিরই বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি বিমান চলাচল, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ ও অন্যান্য বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য বৈঠক করবেন। এছাড়াও শিগগিরই উভয় দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও দূতাবাস স্থাপন করা হবে বলেও প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন লড়াই, ফিলিস্তিন ইস্যুসহ মধ্যপ্রাচ্যের পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতি খোল-নলচে পাল্টে যেতে পারে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইসরায়েল-আমিরাতের চুক্তিটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল এবং এটি বাতিল হওয়া উচিত।