শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তলিয়ে গেছে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
আগস্ট ২৩, ২০২০
news-image

ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে সুন্দরবনের অন্যতম উঁচু পর্যটন স্থান চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকা। ফলে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে থাকা বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল; হরিণ, কুমির ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বাটারগুল বাচকা কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের প্রাণী ক্ষতির মুখে পড়েছে।

সুন্দরবনের অভ্যন্তরে পানি এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে; যা থেকে রক্ষা পায়নি কুমিরের ডিম তা দেয়ার জন্য উঁচু মাটির একাধিক কেল্লা। কুমিরের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার আগেই জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে করমজল প্রজনন কেন্দ্রের ট্যাংকগুলো। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কুমিরের ডিম পাড়া মাটির কেল্লাগুলো ডুবে যাওয়ায় এবার বাচ্চা বৃদ্ধির বিষয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

পাশাপাশি জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, কচুয়া, রামপাল ও চিতলমারীর বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দড়াটানা ও ভৈরব নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগেরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র রাহাতের মোড়, কাপড়পট্টি, পুরাতন বাজারসহ বেশ কিছু এলাকার মূল সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মো. আজাদ কবির বলেন, সুন্দরবনের তুলনামূলক উঁচু স্থান হিসেবে পরিচিত করমজল পর্যটন কেন্দ্র তিন ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। লবণ ও বালুযুক্ত কাদামাটির পানিতে কুমির প্রজনন কেন্দ্রের ট্যাংকগুলো ডুবে গেছে। তবে বেষ্টনী থাকায় এখানকার কুমির ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বাটারগুল বাচকা কচ্ছপগুলো রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তবে সুন্দরবনে অভ্যন্তরে বিভিন্ন এলাকায় বিচরণরত কুমিরগুলোর আবাসস্থল ও ডিম পাড়ার স্থান ডুবে গেছে। ফলে এবার কুমিরের বাচ্চা বৃদ্ধি অনিশ্চিত।তিনি আরও বলেন, করমজল প্রজনন কেন্দ্রের সব প্রাণী ও কুমিরের জন্য দেয়ালের পাশে থাকা উঁচু মাটির কেল্লার ডিম পানি থেকে এখনও সুরক্ষিত রয়েছে। সেখানে পানি উঠেনি।