শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বৃত্তি দেওয়া হতো এবং শিক্ষার্থীদের টাকা পেতে অনেক ঝামেলা হতো।
শিক্ষামন্ত্রী সোমবার (২২ জুন) এক ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় একথা বলেন।
ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে আরও যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক ও পরিচালক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী, সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির স্কিম পরিচালক শরীফ মুর্তাজা মামুনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনলাইনে বৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করার ফলে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরে পৌঁছে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের টাকা পেয়ে যাবে এবং সরকারের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার ফলস্বরূপ আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তের অর্থ পৌঁছে দিতে পারছি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার সার্বিক পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে এক্ষেত্রে যে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে সেজন্য দীপু মনি প্রধানমন্ত্রী ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, শিক্ষার্থী নির্বাচন করার পরে শিক্ষার্থীর আবেদন দাখিল, প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমোদন, প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে ইউএনও’র কাছে তালিকা দাখিল, ইউএসইও অনুমোদনের পর তা স্কিম পরিচালকের কাছে দাখিল ও অনুমোদন, স্কিম পরিচালকের বিল দাখিল, মন্ত্রণালয়ের হিসাবরক্ষণ অফিসের বিল পাসের পর বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো, বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মোবাইলে পৌছে দেওয়া- এই পুরো কাজটি অনলাইনে করা হবে।
উদ্বোধনী দিনে ৪৯২টি উপজেলার প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৮০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩২৮ কোটি ১৪ লাখ এক হাজার ৯শ টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে (অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে উপবৃত্তি অর্থ সরাসরি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নির্ধারিত মোবাইল অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে) পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৪ জুন শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যাবে।
একই সময়ে শিক্ষামন্ত্রী জিটুপি পদ্ধতিতে ২০১৯ সালের পিইসি এবং জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৮৩ হাজার ৯৬৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৭ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৫ টাকা দেওয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রতি অর্থবছরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ জনকে ১৮৭ কোটি টাকার বৃত্তি দেওয়া হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত অন্য শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ অর্থ পর্যায়ক্রমে অনলাইনে পাঠানো হবে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনলাইনে বৃত্তির এ সেবাটি মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে।