শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বার বার এক কোম্পানিকে কাজ দেয়া যাবে না: অর্থমন্ত্রী

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
news-image

প্রকল্প বাস্তবায়নে একই কোম্পানিকে একাধিকবার না দিয়ে অন্যসব কোম্পানিকেও কাজ দেয়া হলে কাজের মান ভালো হয়। একই কোম্পানি বিভিন্ন সময় অনেক কাজ আটকে দেয়। এ জন্য এক কোম্পানিকে বার বার কাজ দেয়া যাবে না। কোনো কোম্পানি কাজ নিয়ে গাফিলতি করলে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার মহাসড়কের লাইফ টাইম: চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে এ সব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, প্রকল্পের সংখ্যা বেশি নেয়ার চেয়ে এর বাস্তবায়ন ও অর্থায়নের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি চলমান প্রকল্পগুলো টেকসইভাবে বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে। অর্থাৎ কাজের সংখ্যা না বাড়িয়ে গুণগত মান বাড়াতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে ওই সেমিনারে অর্থমন্ত্রী বলেন, সড়কের টোল পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে সয়ংক্রিয় করতে হবে। এই পদ্ধতি নামমাত্র বা বা অর্ধেক বাস্তবায়ন করা যাবে না। পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে।

আর টোল আদায়ের নামে গাড়ি আটকে সময় নষ্ট ও জ্যাম তৈরি করা যাবে না। প্রতিটি গাড়ির জন্য প্রিপেইড মিটারের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্দিষ্ট সীমা পার হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল পরিশোধ হবে। টোল প্লাজায় কোনো যানজট হবে না। প্রধানমন্ত্রীও স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিটি মহাসড়কে টোল আদায়ের ব্যবস্থার নির্দেশনা দিয়েছেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ কে মোহাম্মদ ফজলুল করীম। এতে তিনি বলেন, গত অর্থবছরে সড়ক সংস্কার ও অবকাঠামো সংরক্ষণে সংস্থাটির দরকার ছিল ১১ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা। বিপরীতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ২ হাজার ২২৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর আগের ৯ অর্থবছরের কোনোবারেই পর্যাপ্ত অর্থ মেলেনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ভালো সড়ক তৈরি করেছে সিঙ্গাপুর, সেগুলো তো আমরা দেখেছি, সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।

তেলের পরিবর্তে যদি পরিবহন সেক্টরে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানো যায়, তাহলে বছরে ২ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে। বিশ্বের অনেক দেশের পরিবহন খাত বিদ্যুতে চলে যাচ্ছে। শুধু আমরাই পারছি না।

বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, মহাসড়ককে টেকসই করার জন্য ওভারলোডিং কমাতে হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সড়ক-মহাসড়কের রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। রাস্তার পাশে যাতে পানি না জমে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সমন্বিত উপায়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে সড়কের লাইফ টাইম নিশ্চিত হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনসহ প্রমুখ।