শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মশার বংশবিস্তার রোধে জোর প্রধানমন্ত্রীর

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
আগস্ট ২, ২০১৯
news-image

ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ বিস্তারের মধ্যে এর বাহক এডিস ইজিপ্টি মশার বংশবিস্তার রোধের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জোর দিয়েছেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায়।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে কৃষক লীগ আয়োজিত ‘রক্তদান, বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে এই আলোচনায় যোগ দেন মোবাইল ফোনে।

সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, রক্তদান কর্মসূচিতে যে রক্ত পাওয়া যাবে তা ডেঙ্গু রোগীদের জন্য দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইদানীং আমাদের দেশে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেটা হলো ডেঙ্গুর প্রভাব। সেই ডেঙ্গুর প্রভাবমুক্ত করার জন্য আমি কতগুলো নির্দেশনা দিয়েছি। আমি মনে করি, আমাদের পার্টির প্রত্যেকটা মানুষ সেটা মেনে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে মশার বংশবিস্তার যাতে না হতে পারে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখা, পরিবারকে সুরক্ষিত রাখা। নিজের ঘরবাড়ি সব কিছুকে সুরক্ষিত করা হয়। সেই ভাবে সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।’

খুব শিগগির দেশে ফেরার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘এখানে আমরা ৩ তারিখে জাতীয় শোক দিবস পালন করতে যাচ্ছি প্রবাসী বাঙালিদের নিয়ে।’

সবাইকে অন্তত পক্ষে একজন তিনটি করে গাছ রোপনের অনুরোধও করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলের জ্বলোচ্ছাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবুজ বেষ্টনী আমাদের একান্তভাবে দরকার। সেই অঞ্চলে যারা বসবাস করেন, আপনাদেরও ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপন করা দরকার। সেই সাথে আমরা আমাদের পরিবেশ যেন রক্ষা করতে পারি।’

দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন দেশের প্রয়োজনে তিনি রক্ত দেবেন। তিনি ঠিকই রক্ত দিয়েছিলেন। তার সেই রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের মাধ্যমে।’

‘তৃণমূল পযন্ত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দিচ্ছি, উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছি। গবেষণার সুযোগ করে দিয়েছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছি এবং পুষ্টির জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। বাংলাদেশ সার্বিকভাবে আজকে এগিয়ে যাচ্ছে।’

নেতা-কর্মীদেরকে দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার কাছে একটা কথাই মনে হয়, যখন একটি মাত্র ভালো কাজ হয় দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়। মানুষ একটু ভালো থাকে, আমি চিন্তা করি আমার আব্বার আত্মা শান্তি পায়।’

‘নিশ্চয়ই তিনি বেহশত থেকে দেখেন আজকে তার মানুষগুলো ক্ষুধায় কাতর হবে না, কষ্ট পাবে না। সে কথা চিন্তা করে, তার আদর্শকে বুকে ধারণ করেই জীবনের সব কিছু ত্যাগ করে দেশের মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আমি দেশবাসীর দোয়া চাই।’

‘আমাদের সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের যারা মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী, আমি তাদের এই আহ্বান জানাব তারা যেন আত্মমানবতার সেবা করে, মানুষের জন্য আত্মত্যাগ করে। এর থেকে যে তৃপ্তি পাওয়া যায়, আনন্দ পাওয়া যায় তা ত্যাগেই পাওয়া যায়। মহৎ আদর্শের জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন বলেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’

রক্ত দান কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রক্ত দিলে, রক্ত কমে না। রক্ত বাড়ে। একজন মুমুর্ষ রোগীর জীবন রক্ষা হয়। এই জীবন রক্ষার জন্য একটু ত্যাগ স্বীকার যে কোনো মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা মানবতার জন্য দরকার।…রক্ত দান কর্মসূচি যেন আরো ব্যাপক ভাবে হয়, যাতে মূমুর্ষ রোগী জীবন ফিরে পায়।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন।