মঙ্গলবার, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্বামীর থেকে বউ যদি বয়সে বড় হয়, তাহলে………

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
জুলাই ১৩, ২০১৯
news-image

অসম বয়সের সম্পর্ক আমাদের সমাজে স্বীকৃত। সেক্ষেত্রে পুরুষকে হতে হবে বড়, আর মেয়ে হবে ছোট। উল্টোটা হলে সমাজ ও পরিবার সহজে মেনে নিতে চায় না। এছাড়া নানা সমস্যা রয়েছে। সেটা শারীরিক এবং মানসিক।

লোকনিন্দা : স্ত্রী যখন বয়সে বড় হন, তখন প্রথমেই যে বিষয়টির মুখোমুখি হতে হয় সেটি হল লোকজনের নিন্দা। স্বামী-স্ত্রীর দিকে বাঁকা চোখে তাকান অনেকেই। আওয়াজ খেতে হয় বন্ধুদের থেকেও। স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য নিয়ে অনেকে আড়ালে, এমনকি সামনাসামনিও ঠাট্টা করে থাকে।

পারিবারিক অসহযোগিতা : সঙ্গিনীর বেশি বয়স নিয়ে সবচেয়ে বেশি আপত্তি আসে পরিবার থেকে। খুব কম পরিবারই রয়েছে যেখানে এমন বিয়ে সহজেই গ্রহণ করা হয়।

বয়সের ছাপ : স্ত্রী যখন স্বামীর চেয়ে বয়সে বড় হবেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রীর চেহারায় বয়সের ছাপ আগে পড়বে। অনেক পুরুষই তখন স্ত্রীকে অন্যের সঙ্গে পরিচয় করাতে সঙ্কোচবোধ করেন। আবার অনেক স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে বের হতে চান না। পরস্পরের মধ্য একটা দূরত্ব তৈরি হয়।

মানসিক চাপ : স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স বেশি হলে যেসব পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা তৈরি হয়, তা মনের উপরে চাপ সৃষ্টি করে। নারী-মনে তা বেশি প্রভাব ফেলে। এর জেরে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

জীবনে সমস্যা : স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স খুব বেশি হলে একটা সময়ে জীবনে সমস্যা তৈরি হয়। কারণ, নারী ও পুরুষের শারীরিক ক্ষমতা ও চাহিদা এক রকম হয় না। নারীর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক চাহিদা দিন দিন কমে আর পুরুষের শারীরিক চাহিদা অনেক বয়স পর্যন্ত বজায় থাকে।

গর্ভধারণে সমস্যা : সাধারণত ৩৫ বছরের পরেই গর্ভধারণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। স্বামীর বয়স খুব কম হলে সে সন্তানের জন্য অপেক্ষা করতেই পারে। কিন্তু বয়স্কা স্ত্রীর পক্ষে সন্তানের জন্য বেশি দিন অপেক্ষা করা নিরাপদ নয়।

বোঝাপড়ার সমস্যা : মনস্তাত্বিকরা বলেন, সমবয়সি দু’জন ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে মেয়ের মানসিক বয়স ছেলের তুলনায় দু’বছরের বেশি হয়। স্বামীর তুলনায় স্ত্রীর বয়স বেশি হলে মানসিক বয়সের পার্থক্য আরও বেশি হবে। এই মানসিক বয়সের পার্থক্যের কারণে বোঝাপড়ার অভাব হওয়াটা স্বাভাবিক। অনেক সময়ে স্ত্রী বেশি অভিজ্ঞ হওয়ায় স্বামীর মনে হতে পারে সেই কর্তৃত্ব করছে।

এমন অনেক সমস্যাই রয়েছে। আবার এই সমাজে এমন অনেক উদাহরণও আছে যেখানে বয়সের এই ফারাক কোনও সমস্যাই তৈরি করেনি। পরস্পরের বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে ছোট বর আর বড় বউ দিব্যি সুখে ঘর-সংসার করছেন।