বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজনীতিবিদদের নিয়ে ৩০ টাকা মূল্যের ইফতার করল বিএনপি

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
মে ২৮, ২০১৯
news-image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ইফতারে কারাবিধি অনুযায়ী মাত্র ৩০ টাকা। এই খাবার দিয়ে প্রতিদিন ইফতার করতে হচ্ছে তাকে। তাই তাকে সম্মান জানাতে ৩০ টাকার খাদ্যদ্রব্য দিয়েই ইফতার করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে এই ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিএনপি।

এর আগে আরও দুটি ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিএনপি। প্রথমটি এতিমদের জন্য ও দ্বিতীয়টি কূটনীতিক ও সম্পাদকদের জন্যে।

এতিমদের জন্য যেটি আয়োজন করা হয় সেটিতে ছিল বিরিয়ানীসহ বিভিন্ন রকম খাদ্যদ্রব্য। আর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে যেটি আয়োজন করা হয়, সেটিতে ব্যক্তিপ্রতি হাজার টাকার ইফতার দেওয়া হয়।

তবে আজকের ইফতারে ছিল দুটি খেজুর, একটি জিলাপি, একটি বেগুনি, একটা পেঁয়াজু, ছোলা ভাজি, মুড়ি এবং ছোট এক বোতল পানি। সব মিলিয়ে মোট ৩০ টাকার ইফতার সরবরাহ করে বিএনপি।

ইফতারের আগে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্য বলেন, আজকে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমাদের এই আয়োজনে অংশ নিতে হচ্ছে। আপনারা সবাই জানেন, গণতন্ত্রের মাতা দীর্ঘদিন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন তাকে সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এই রমজান মাসে যখন আমরা এখানে সমবেত হয়েছি, তখন তিনিও কারাগারে থেকে বন্দি অবস্থায় হাসপাতালের ছোট্ট একটি কক্ষে ইফতারের জন্য অপেক্ষা করছেন। তার ইফতারের জন্য সরকারের বরাদ্দ মাত্র ৩০ টাকা।

এ সময় খালেদা জিয়াসহ আটক নেতা-কর্মী এবং তাদের পরিবারের জন্য দোয়া চেয়ে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আজকে জগদ্দল পাথরের মতো একটা জগদ্দল সরকার চেপে বসে আছে। সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে, গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। একটা একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দিয়েছে, রাষ্ট্রের স্তম্ভ ভেঙে দিয়েছে। আমরা একটা ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আসুন আমরা সবাই আল্লাহর কাছে এ থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করি।

ইফতারে দোয়া পরিচালনা করেন উলামা দলের আহ্বায়ক শাহ নেছারুল হক। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উলামা দলের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম তালুকদার।

বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, খন্দকার মাহবুব হোসেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল মান্নান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, শওকত মাহমুদ, নিতাই রায় চৌধুরী, আমনউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফরহাদ হালিম ডোনার, ফজলুর রহমান, নাজমুল হক নান্নু, আবদুর রেজ্জাক খান, জিয়াউর রহমান খান, শাহিদা রফিক, বিজন কান্তি সরকার, আবদুল হাই শিকদার, খায়রুল কবির খোকন, এসএম ফজলুল হক, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মফিকুল হাসান তৃপ্তিসহ কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। সদ্য সংসদে যোগ দেওয়া উকিল আবদুস সাত্তারও ইফতারে অংশ নেন।

ইফতারে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে গণফোরামের আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মহসিন রশিদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, আফসারী আমিন আহমেদ, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, শহিদ উদ্দিন

মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এসএম আকবর, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, শাহ আহমেদ বাদল উপস্থিত ছিলেন।

২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান, হামিদুর রহমান আজাদ, আবদুল হালিম, তাসনীম আহমেদ, সেলিমুদ্দিন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, খেলাফত মজলিশের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির শাহাদৎ হোসেন সেলিম, এমএম আমিনুর রহমান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপের এমএন সাওন সাদেকীন প্রমুখ।

পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক শরীফউদ্দিন।