শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অনিয়ম হলে নির্বাচন বন্ধ : সিইসি

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯
news-image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘এজেন্টদের নিয়ে সব সময় আপনাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট দেন, সে জন্য তাদের উৎসাহিত করবেন। এজেন্টরা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এজেন্ট থাকা এবং যাওয়ার দায়িত্ব তো আপনারা নিতে পারেন না। সেটা প্রার্থীর বিষয়। প্রার্থীদের উৎসাহিত করবেন, যাতে তাঁরা এজেন্ট দেন। এজেন্টরা যাতে সেখানে নিরাপদে নির্ভয়ে থাকতে পারে, এটা দেখবেন।’

সিইসি আরো বলেন, ‘অনেকে অভিযোগ করেন যে তাঁদের এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। আপনারা (প্রার্থী) যদি না পাঠান, তাহলে কেন্দ্রে এজেন্ট কীভাবে যাবে? পোলিং এজেন্টদের বিষয়ে অভিযোগ আসে যে তাঁদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় না। এর অনেকগুলোই সঠিক না।’

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে সিইসি এসব কথা বলেন।

অনিয়মের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যদি কোনো রিটার্নিং কর্মকর্তা মনে করেন যে তাঁর উপজেলায় নির্বাচন করার পরিবেশ নেই, তাহলে সেটা বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করবেন। কমিশন সেটা বন্ধ করে দিতে পারবে। আমরা সে অবস্থানে থাকতে চাই।’

‘যদি কখনো কোনো জায়গায় কোনো প্রার্থীর, দলের বা কেউ কারো অতিরিক্ত নিষ্প্রয়োজনীয় আইন ব্যত্যয়কারী কোনো ঘটনা সৃষ্টি করে বা নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণের বহির্ভূত হয়ে যাবে এমন কিছু হলে পুরো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ হবে। কিন্তু নির্বাচনে কোনোরকম অনিয়মের সঙ্গে আপস করা যাবে না।’

সিইসি বলেন, ‘মানুষ ভোট দেবে। ভোটারের পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী হবে। প্রার্থী কোন দলের, কোন ধর্মের, কোন বর্ণের সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। অনেকে বলেন, নির্বাচনের প্রার্থী ম্যাট্রিকের নিচে, তারা দেখতে ভালো না। এটা তো কোনো কথা না। ভোটার যাকে যোগ্য মনে করবেন, তিনিই হবেন তাঁদের নির্বাচিত প্রার্থী।’

কে এম নূরুল হুদা আরো বলেন, ‘বলা হয়ে থাকে যে ভোটারদের ভোট দিতে আসতে দেওয়া হয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবেন। কোনো কোনো জায়গায় ভয়ভীতি দেখানো হয় বা হতে পারে। সেগুলোকে ভালোভাবে নজরদারিতে রাখতে হবে।’

নির্দেশনা দিয়ে সিইসি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বা পরে এবং নির্বাচনের দিন যাতে কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে, এ বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে।’