ইভিএম পরিচালনায় সেনা থাকবে: ইসি সচিব
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে সেখানে দায়িত্বে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এমন পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি বলেন, যেসব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সেখানে দায়িত্বে থাকবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তাদের ইভিএম পরিচালনার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে অনুরোধ জানাবো। তারা যদি গ্রহণ করে তাহলে নির্বাচন কমিশন এমন পরিকল্পনা নেবে। তবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
ইভিএম মেলার বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর ইভিএম নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলা হবে। এতে আমরা রাজনৈতিক দলগুলো আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা যদি তাদের টেকনিক্যাল টিম দিয়ে ইভিএম পর্যবেবেক্ষণ করতে চায়, তা পারবে।
জোটগতভাবে নির্বাচনের তথ্য দিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী রোববারের (১১ নভেম্বর) মধ্যে দলগুলোকে জোটের তথ্য ইসিতে দিতে হবে।
‘এক্ষেত্রে জোটের তথ্য না দিলে নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। আর সময় বাড়ানোর কোনো আবেদন এখনও আমরা পাইনি। নির্বাচন কমিশন চাইলে সময় বাড়াতে পারে।’
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামী মঙ্গলবার থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের (জেলা প্রশাসক) আমরা প্রশিক্ষণ দেবো। আর তার তিনদিন পর সহাকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবো।
ভোটের তারিখ পেছাতে বিএনপির দাবি পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি তফসিল দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ভোটের তারিখ পেছানোর কোনো চিন্তা নেই। তবে সবগুলো দল চাইলে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, আমরা প্রত্যেক রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলে দিয়েছি, তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। সাতদিনের মধ্যে সব ধরনের প্রচার সামগ্রীও সরিয়ে ফেলতে বলেছি। এর মধ্যে সরানো না হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দলগুলোর মনোনয়নপত্র বিক্রি সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার বিষয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো একটি এরিয়ার মধ্যে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেবে। এতে আচরণ বিধি প্রতিপালন না হওয়ার কিছু দেখছি না।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৯ নভেম্বর।