৫২ দিন পর বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন শুরু
দীর্ঘ ৫২ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ২৭ মিনিট থেকে শুরু হয় এ উৎপাদন।
কয়লার অভাবে গত ২২ জুলাই দেশের একমাত্র কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার বলেন, ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটির বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় স্টিম চালু করা হয়।
‘রাত ২টা ২৭ মিনিটে উৎপাদন শুরুর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যোগ হয় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ।’ তিনি বলেন, তৃতীয় এ ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন প্রয়োজন দুই হাজার ৮০০ টন কয়লা। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মজুদ আছে প্রায় ছয় হাজার টন কয়লা।
আর গত ৮ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে কয়লা উত্তোলন শুরুর পর প্রতিদিন দুই হাজার থেকে ২২০০ টন কয়লা খনি থেকে পাওয়া যাচ্ছে।
আব্দুল হাকিম সরকার জানান, ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি চালু করা হয়েছে।
কয়লার মজুদ বাড়লে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট দুটি চালু করা হবে। ওই দুটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট করে ২৫০ মেগাওয়াট।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উত্তোলন গত ১৯ জুন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এবং খনি থেকে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার সংকটে পড়ে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
ফলে কয়লার অভাবে গত ২২ জুলাই বন্ধ হয়ে যায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন।
এরই মধ্যে গত ২০ আগস্ট শুধু ঈদের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউনিট চালু করা হয়।
৯ দিন চালু থাকার পর তা আবার বন্ধ করে দেয়া হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ আর লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরাঞ্চলের আট জেলার মানুষ।