ঐক্য প্রক্রিয়ায় আমরা অনেকদূর এগিয়ে এসেছি : মওদুদ
বিএনপি মহাসচিব জাতিসংঘের আমন্ত্রণে নালিশ করতে নয়, দেশের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরতে নিইউয়র্কে গেছেন মন্তব্য করে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিবকে জাতিসংঘ মহাসচিব আমন্ত্রণ করায় আওয়ামী লীগ ঈর্ষান্বিত তাই বিএনপিকে নিয়ে নানা প্রকার মন্তব্য করছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত ‘গণগ্রেফতার ও বিচার বিভাগের উপর সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবির আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশে যখন এসেছিলেন তখন বিরোধী দলের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বলে তিনি বিএনপিকে জাতিসংঘে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব জাতিসংঘে নালিশ করতে যাননি। জাতিসংঘের আমন্ত্রণে গেছেন এবং তিনি বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তব অবস্থা তুলে ধরতে গেছেন। কিন্তু আওঅয়ামী লীগ এতে ঈর্ষান্বিত।
তিনি বলেন, দেশে যে অরাজকতা চলছে, বিরোধী দলের উপর যে নির্যাতন হচ্ছে, মামলা হামলা, হচ্ছে তা তুলে ধরার জন্য গেছেন মহাসচিব।
মওদুদ বলেন, এই সরকারের উদ্দেশ্য অত্যন্ত খারাপ। এ সরকার বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক তা কোনোভাবে চায় না। যদি চাইতো তাহলে তাদের আচরণ এতো খারাপ হত না। তাদের চিন্তা হলো একটি একদলীয় নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতায় আসা। কিন্তু ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছে সেরকম কোনো নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে আর হবে না৷ তাদের এই স্বপ্ন কোনোভাবে বাস্তবায়ন হবে না৷
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা এই স্বৈরাচারকে পতন করার জন্য একটি বৃহত্তর ঐক্য করছি। এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় আমরা অনেকদূর এগিয়ে এসেছি৷ ঐক্য প্রায় হয়ে গেছে। কিন্তু জাতীয় ঐক্য যাতে না হয় তার জন্য চেষ্টা করছে সরকার। তবু জাতীয় ঐক্য হবে। গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক দল এক। ড. কামাল হোসেন, বি.চৌধুরী, মাহমুুদুর রহমান মান্না, আ স ম আব্দুর রব সহ সকলে ঐক্যবদ্ধ। এমনকি বাম জোটও এক হয়ে গেছে৷ জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি হয়ে গেছে। এখন এটাকে আরো শক্ত করতে হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
মওদুদ বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার করা হয়েছিলো বেগম খালেদা জিয়ার সময়। আর আপনারা পঞ্চদশ সংশোধনীতে তা বাতিল করে দিয়েছেন। এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য আপনারা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন৷ এগুলো সব মিথ্যা কথা, সব বিভ্রান্তিমূলক। জনগণের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। আসলে যে সরকার আছে সেটাই থাকবে। তাদের অধীনে পুলিশ, বিচার, প্রশাসন থাকবে। তারাই নির্বাচন করবে। আর জয়ী হবে৷ এটাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু তাদের এই দুঃস্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না।