শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবেই সড়কে গাড়ি নামবে: মালিক সমিতি

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
আগস্ট ৩, ২০১৮
news-image

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পাল্টায় বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার পর পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলেছেন, পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ হলে তবেই সড়কে গাড়ি নামাবেন তারা।

গত ২৯ জুলাই ঢাকায় বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর হয়। সমালোচনার মুখে পড়েন পরিবহণ শ্রমিকদের নেতা নৌমন্ত্রী শাজাহান খানও।

পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে তাদের ঘরে ফেরার প্রত্যাশা প্রকাশের পরদিন শুক্রবার সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মালিক-শ্রমিকরা।

শুক্রবার সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থান আগের কয়েক দিনের মতো নেই; এর মধ্যে পরিবহণ মালিক কিংবা শ্রমিক সংগঠনগুলোর কোনো ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধের কারণে সারাদেশে জনদুর্ভোগ চলছে।

বাস মালিকরা বলছেন, সড়কে ভাংচুরের কারণে পরিবহণ শ্রমিকরা বাস চালাতে চাইছেন না। অন্যদিকে পরিবহণ শ্রমিকরা বলছেন, মালিকরা বাস নামাতে নিষেধ করেছেন।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়ত উল্লাহ শুক্রবার দুপুরে  বলেন, “ছাত্ররা বাস ভাংচুর করছে এজন্য বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।”

বাস চলাচল বন্ধের কোনো নির্দেশনা মালিকরা দিয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ওইভাবে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ভাংচুর করছে, তাই বাস বন্ধ রয়েছে।”

কবে নাগাদ বাস চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে- জানতে চাইলে সঠিক দিনক্ষণ না জানিয়ে এনায়েত বলেন, “ছাত্ররা ভাংচুর বন্ধ করুক, বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”

বাস মালিক সমিতির নেতা এনায়েত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরও নেতা। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

এনায়েত উল্লাহর মালিকানাধীন এনা পরিবহনের ফেনী জেলা ব্যবস্থাপক হাসান চৌধুরী বলেন, “গত কয়েক দিনে ঢাকায় আমাদের বেশ কয়েকটি বাস ভাংচুর করায় ঢাকা থেকে গাড়ি আসতে পারেনি। এজন্য আজ ভোর থেকে ঢাকার উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।”

বাস বন্ধের বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম  বলেন, “আন্দোলন চলাকালে সড়কে ৩২৫টি বাস ভাংচুর করা হয়েছে, ১১টি বাস পোড়ানো হয়েছে। “আমরা এই পরিস্থিতিতে সড়কে বাস নামাতে নিরাপদ বোধ করছি না। এভাবে বাস ভাংচুর করলে, পুড়িয়ে দিলে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হই।”

শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক বলে মেনে নিয়ে কালাম বলেন, “কিন্তু সড়ক নিরাপদ কি শুধু বাস আর ড্রাইভার ঠিক হলেই হল? সড়কে জায়গায় জায়গায় গর্ত। এগুলোও তো দুর্ঘটনার কারণ। সড়কও ঠিক করতে হবে।”

বাস চলাচল কখন শুরু হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সরকার যদি বলে সড়ক নিরাপদ, তবে আমরা যে কোনো সময় বাস নামাব।”

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে সকালে একদল পরিবহণ শ্রমিককে সড়কে অবস্থান নিয়ে গাড়ি আটকাতে দেখা গেছে।