নিহতদের মরদেহ দেশে আসছে মঙ্গলবার
নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতদের মরদেহ দেশে আনা হবে মঙ্গলবার। শুক্রবার বিকেলে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাসের মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের কর্মকর্তা এএসপি আব্দুস সালাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজকের মধ্যেই নিহতের ময়নাতদন্ত শেষ হবে। কাল থেকে শনাক্তকরণের কাজ শুরু হবে। যেসব মৃতদেহ খালি চোখে দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হবে সেগুলো মঙ্গলবারের মধ্যে একযোগে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় দেশে পাঠানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সোহেল আহমেদ বলেন, যেসব মৃতদেহ দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হবে না সেগুলোর ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হবে। প্রোফাইলিংয়ের জন্য এসব মৃতদেহের দাঁত, চুল, নখ বা পোশাকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বলেন, নিহতদের আত্মীয়-স্বজনেরা চান, সবার মৃতদেহ একসঙ্গে পাঠানো হোক। সে জন্য সবার লাশ একসঙ্গে পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে রবিবার ঢাকার সিআইডির ডিএনএ ল্যাবে গিয়ে নিহতদের আত্মীয়-স্বজনদের যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়।
সোমবার ৭১ জন আরোহী নিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১। কিন্তু দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয় বিমানটি। এতে বাংলাদেশি ২৬ জনসহ ৫১ জন যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এই সব মরদেহ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা হাসপাতালের ফরেনসিক ল্যাবে রয়েছে।