রফতানির পালে হাওয়া
রফতানির পালে হাওয়া লেগেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে আয় হয়েছে দুই হাজার ৪৩৯ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয়ের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ২৭১ কোটি ৯২ লাখ ডলার। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৪৪০ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা শুধু ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৩০৩ কোটি ডলার। এর বিপরীতে ফেব্রুয়ারিতে রফতানি হয়েছে ৩০৭ কোটি ২১ লাখ ডলারের পণ্য। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২৭০ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। সেই হিসাবে ফেব্রুয়ারিতে রফতানি বেড়েছে ৩৬ কোটি ৬২ লাখ ডলার বা ১৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের আট মাসে দুই হাজার ২৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল এক হাজার ৮৬৩ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। এই হিসাবে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে আট দশমিক ৬৮ শতাংশ। এর মধ্যে নিটওয়্যার খাতে আয় হয়েছে এক হাজার ১২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ বেশি। আর ওভেন খাতের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে এক হাজার ১৩ কোটি ৩ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারির চেয়ে চলতি অর্থবছরের আট মাসে হিমায়িত খাদ্য রফতানি আয় সাত দশমিক শূন্য এক শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া কৃষিপণ্য রফতানি ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ, পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং হোম টেক্সটাইল পণ্য ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ, প্রস্তুত করা নিত্যপণ্যে সাত দশমিক ২৭ শতাংশ এবং কেমিক্যাল পণ্যে দশমিক ২৭ শতাংশ রফতানি বেড়েছে।
তবে প্লাস্টিক পণ্য রফতানিতে আয় ২১ দশমিক ২০ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি পাঁচ দশমিক ১৫ শতাংশ, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যে ৩০ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং সিরামিক পণ্যে দুই দশমিক১৬ শতাংশ আয় কমেছে।