রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সীমান্তে মিয়ানমারের অতিরিক্ত সেনা, সতর্ক বিজিবি

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
মার্চ ২, ২০১৮
news-image

নাইক্ষ্যংছড়ির তামরু সীমান্তে ভারী অস্ত্র, গোলা-বারুদ নিয়ে মিয়ানমারের অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি শক্ত ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এ বিষয়ে আলোচনা করতে পতাকা বৈঠকের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে বিজিবি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির তামরু সীমান্তে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পোস্টের মাঝামাঝি এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তের দেড়শ গজ ভেতরে সেনা সমাবেশ করেছে। কিছু সেনা পিকআপ, ট্রাক ও লরিতে করে এসেছে। ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে। সীমান্তের ভারী অস্ত্র মোতায়েন ও সেনা সমাবেশ বর্ডার নর্মসের বাইরে। আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি, পর্যবেক্ষণ করছি। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে বিজিবি সব সময়ই দেশমাতৃকার তরে নিবেদিতপ্রাণ থেকে তাদের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তা পালন করবে।

মুজিবুর রহমান বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরেই সীমান্তে মিয়ানমারের সেনারা জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গাদের ফেরত যেতে মানা করছে। এটি এক ধরনের পুশিং। মিয়ানমার ওই সীমান্তে সেনা বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি ভারী অস্ত্র, গোলা-বারুদের সংখ্যাও বাড়িয়েছে। তাই সীমান্তে বিজিবিও তাদের জনবল বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু পারস্পরিক আলোচনা ও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে আমরা পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি মিয়ানমারকে। অবশ্যই তারা পতাকা বৈঠকের জবাব দেবে এবং এ পরিস্থিতির সমাধান পতাকা বৈঠকের মাধ্যমেই হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে বৈঠকে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। তাই এমন কোনো পদক্ষেপ তাদের নেওয়ার কথা নয়। এটি কোনো উস্কানির পর্যায়ে পড়ে না। তাদের নিশ্চয়ই কোনো পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান কী, সেটা জানার জন্যই পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে মিয়ানমারকে।

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, এখনো এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যে, অন্য কোনো বাহিনীর সদস্যদের জানাতে হবে। তবে মিয়ানমার স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে বলেই আমরাও বিজিবির জনবল বৃদ্ধি করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পতাকা বৈঠকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অতিরিক্ত সেনা মিয়ানমার কেন মোতায়েন করল, সেটা বৈঠকের পরই আমরা বিস্তারিত জানাতে পারব।