বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তামিমের ব্যাটে রান, জয়ে অবদান রাখলেন সাব্বির

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
মার্চ ২, ২০১৮
news-image

শেষটা ছিল ড্যারেন স্যামিময়। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে দিয়েছেন দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ। কিন্তু তামিম ইকবালের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয়ের ভিত পায় পেশোয়ার জালমি। আরেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাব্বির রহমানও রেখেছেন জয়ে অবদান।

সব মিলিয়ে দলগত পারফরম্যান্সে বৃহস্পতিবার পিএসএলে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তামিম-সাব্বিরদের পেশোয়ার জালমি। আগে ব্যাটিং করে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস ৮ উইকেটে করে ১৪১ রান। জবাবে ২ বল আগে জয় নিশ্চিত করে জালমি।

শেষ ৩০ বলে ৩৫ রান দরকার ছিল জালমির। ১৬তম ওভারে অসি পেসার হ্যাসটিংসের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দেন ২৯ রান করা হাফিজ। তার আউটে ভাঙে তামিম-হাফিজের ৫৪ রানের জুটি। ব্যাটিংয়ে আসেন সাব্বির। পরের ওভারে শুরুতে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট তামিম। ৩৮ বলে ৩৬ রান করা তামিমকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে জালমি। সাব্বির ও খালিদ উসমান পরের ১০ বলে যোগ করেন ৮ রান।

১২ বলে দরকার ২২ রান। ১৯তম ওভারে রাহাত আলীর করা দ্বিতীয় বলে চিকি শট খেলে বাউন্ডারি মারেন সাব্বির। ইয়র্কার বল দারুণভাবে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে সাব্বির পেয়ে যান আত্মবিশ্বাস। কিন্তু পরের বলে আউট! লোভনীয় ফুলটস বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন ১১ বলে ১১ রান করে।

এরপরই পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। পায়ের চোট নিয়ে খেলতে নেমেও ৪ বলে ১৬ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জালমির অধিনায়ক স্যামি। ১৯তম ওভারের শেষ বলে লং অন দিয়ে ছক্কা মেরে শুরু। ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলও ছক্কা। আনোয়ার আলীকে মারেন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে। পরের বল ডট। চতুর্থ বলে বাঁচতে পারেননি আনোয়ার। পাওয়ার ফুল ড্রাইভে লং অফ দিয়ে বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে স্যামি জয় উপহার দেন দলকে।

শেষটা স্যামির ব্যাটে রাঙানো হলেও শুরুটা তামিম ইকবালের। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাটিং করে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ওপেনার। ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ডোয়াইন স্মিথকে নিয়ে তামিম যোগ করেন ৩০ রান। স্মিথ (২৩) সাজঘরে ফেরার পর হাফিজকে নিয়ে গড়েন জুটি। হাফিজের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান।

এর আগে শারজাহতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শেন ওয়াটসনের ৪৭ ও রাইলি রুশোর ৩৭ রানে লড়াকু পুঁজি পায় কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস। পেশোয়ারের দ্বিতীয় জয়ের বিপরীতে এটি কোয়েটার দ্বিতীয় হার।

আগের ম্যাচে কোয়েটার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ে সুযোগ মেলেনি। ফিল্ডিংয়ে নিয়েছিলেন এক ক্যাচ। কিন্তু এদিন তাকে একাদশের বাইরে রাখে টিম ম্যানেজমেন্ট। মাহমুদউল্লাহ সুযোগ না পেলেও সাব্বির প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে খেললেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। নায়ক হয়ে মাঠ ছাড়তে পারতেন। কিন্তু ভুল এক শটে তাকে ফিরতে হয় সাজঘরে। তবে ফিল্ডিংয়ে সাব্বির ছিলেন চনমনে। তিনটি ক্যাচ নিয়েছেন দারুণভাবেই।