ছেলের কবরেই শায়িত হবেন আনিসুল হক
লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক মসজিদে শুক্রবার বাদ জুমা ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর শনিবার বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আনিসুল হকের মরদেহ দেশে এসে পৌঁছাবে।
পরে আর্মি স্টেডিয়ামে আরেক দফা জানাজা শেষে আনিসুল হককে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। ছোট ছেলে শারাফুল হকের কবরেই শায়িত হবেন তিনি।
২০০২ সালে ৬ বছর বয়সে মারা যান আনিসুল হকের ছোট ছেলে শারাফুল হক।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে (লন্ডনের স্থানীয় সময় ৪টা ২৩ মিনিট) লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। চিকিৎসকরা তার কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসযন্ত্র (ভেন্টিলেশন যন্ত্র) খুলে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সোমবার রক্তে সংক্রমণের কারণে আনিসুল হকের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) স্থানান্তর করা হয়।
তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে বৃহস্পতিবার লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়।
এর আগে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তার কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র খুলে নেয়া হয়।
মঙ্গলবার মেয়রের পরিবারের এক সদস্য বলেন, রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে আবার আইসিইউতে নেয়া হয়।
নাতির জন্ম উপলক্ষে ২৯ জুলাই সপরিবারে আনিসুল হক যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার মস্তিষ্কের রক্তনালিতে প্রদাহজনিত সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস ধরা পড়লে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেয়া হয়।
অবস্থার উন্নতি হলে ৩১ অক্টোবর তাকে আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশনে স্থানান্তর করা হয়।
১৯৫২ সালের ২৭ অক্টোবর নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন আনিসুল হক। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করে তিনি ১৯৮৬ সালে মোহাম্মদী গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন।
২০১৫ সালে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী আনিসুল হক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।