৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হাইকোর্টের রুল
বাংলাদেশের স্বাধীনতা বেগবান করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান উপলক্ষে ৭ মার্চকে কেন জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়া রুলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যেসব মঞ্চে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন, পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করে ও ইন্দিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়- সেই সব মঞ্চ পুনর্নির্মাণ এবং বক্তব্যরত বঙ্গবন্ধুর আঙুল উঁচানো ভাস্কর্য কেন নির্মাণ করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এ রুলের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা ১২ ডিসেম্বর আদালতকে জানাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদের জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ রুল জারি করেন।
রিটের শুনানিকালে আদালত বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুধু যে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছেন তা নয়, এখানে পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে, ইন্দিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সেখানে যাতে ঐতিহাসিক নিদর্শন থাকতে না পারে, সেই জন্য শিশুপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে।
এ সময় এক মাসের মধ্যে সরকারকে একটি প্রকল্প নেয়ার নির্দেশ দিতে আদালতের কাছে আবেদন জানান রিট আবেদনকারী বশির আহমেদ।
এর জবাবে আদালত বলেন, আমরা রুল দিচ্ছি। এরপর আদালত রুল জারি করেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আহ্বানসংবলিত এ ঐতিহাসিক ভাষণটি ইউনেস্কো ঘোষিত ৪২৭টি বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।