জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ বদ্ধপরিকর: আইজিপি
মাদক ও জঙ্গিবাদ সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর অভিশাপ বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ দমন ও মাদক নির্মূলে পুলিশ বদ্ধপরিকর। সমাজকে জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে রক্ষার জন্য আমরা কঠোর কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।’ শনিবার সকালে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ‘৩৫তম বহিরাগত ক্যাডেট এসআই ২০১৬ ব্যাচের’ প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি পুলিশের জনবল বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ পুলিশকে একটি বিশ্বমানের বাহিনীতে পরিণত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তাই পুলিশ বাহিনীকে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।’
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসআইদের উদ্দেশে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘পুলিশের তদন্তের ওপর ভিত্তি করে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হবে এবং ভিকটিম তার প্রতিকার পাবে। তাই পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে অপরাধ তদন্ত করতে হবে।’ এসময় তিনি সব লোভের ঊর্ধ্বে থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসআইদের প্রতি আহ্বান জানান।
পুলিশের প্রধান দায়িত্ব আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা উল্লেখ করে এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা পুলিশের কাজ। জনগণের সঙ্গে সবসময় ভালো আচরণ করতে হবে পুলিশ সদস্যদের। মনে রাখতে হবে জনগণই পুলিশের প্রকৃত বন্ধু।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে জঙ্গিবাদ, সাইবার ক্রাইম, ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে হবে। নিজেদের কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে হবে, নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রেখে দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে। এ বছরই প্রথম আনআর্মড কমব্যাট প্রশিক্ষণে অধিক গুরুত্ব দে্ওয়া হয়েছে, যেন তৃণমূল পর্যায়ে আরও দক্ষতা দেখানো সম্ভব হয়।’
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৫ জন নারীসহ ১ হাজার ৩২১ জন বহিরাগত ক্যাডেট এসআই তাদের মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। প্রশিক্ষণে বেস্ট একাডেমিক শেখ রাশিদুল হাসান, প্যারেডে তানজির আহমেদ, পিটি ও বাধা অতিক্রমে সুখবিন্দু রায়, মাসকেট্রিতে মাসুদুর রহমান, রাইডিংয়ে মোহাম্মদ আলী শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। বেস্ট ক্যাডেট নির্বাচিত হয়েছেন শেখ রাশিদুল হাসান। অনুষ্ঠানে একাডেমির প্রিন্সিপ্যাল মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণার্থীদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।