শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কাউকে ভোটে আনতে মধ্যস্থতাকারী হব না : সিইসি

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
আগস্ট ১৭, ২০১৭
news-image

রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনার শুধু সংলাপের আয়োজন করবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক সংলাপে এসব কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় দিন ছিল আজ বৃহস্পতিবার। এই সংলাপে ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অর্থাৎ টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা অংশ নেন।

এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা যে ডায়ালগ করব পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে, সেটাও শুধু ডায়ালগ। তাদের কথা শুনব আর আমাদের কথা তারা শুনবে। এ নিয়ে ওই কে আসবে, না আসবে এ ব্যাপারে আমাদের কোনো ইস্যু থাকবে না।’

এ ছাড়া নির্বাচনকালীন পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি। নির্বাচন কমিশন যদি প্রয়োজন মনে করে, তাহলেই কেবল সেনা মোতায়েন করা হবে বলেও জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘কে চাইবে না চাইবে, তার ওপর নির্ভর হবে না। আমরা পরিবেশ-পরিস্থিতি যদি মনে করি, আমরা তখন দরকার মনে করি, সেনাবাহিনী আসবে এবং যদি দরকার মনে না করি, সেনাবাহিনী আসবে না। সেটা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।’

সংলাপ শেষে বেরিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের তিন ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষ হলো। মূলত প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশন আমাদের ডেকেছিলেন গণমাধ্যমের বিভিন্ন যাঁরা ব্যক্তি আছেন, তাঁদের কাছ থেকে শোনার জন্য। মূলত জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা মনে করেন যে আমরা জনগণের কাছাকাছি কাজ করি। ফলে জনগণ কী রকম নির্বাচন চায়, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কী কী করা দরকার এ বিষয়গুলো তাঁরা শুনতে চেয়েছেন। আমরা মূলত যেটা বলেছি যে, সাংবাদিকরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের সংবাদ প্রচারের জন্য কী কী করা যায়।’

এর আগে আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই সংলাপ শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে এ সময় চার নির্বাচন কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে ইসির সংলাপে অংশ নেন ২৬ জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতা। এ সময় তাঁরা সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন।