বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘জনগণকে দুর্নীতিমুক্ত সেবা না দিলেই শাস্তি’

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
আগস্ট ২, ২০১৭
news-image

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, জনগণকে দুর্নীতিমুক্ত সেবা দিন। অন্যথায় নিশ্চিত শাস্তি ভোগ করতে হবে, যেতে হবে কারাগারে। দুর্নীতিমুক্ত সেবা দিতেই হবে। দিস ইজ আওয়ার ডিউটি, রেসপনসিবিলিটি। দিস ইজ দেয়ার রাইট। ইফ ইউ ফেইল, ইউ হেল্ড আপ ইন জেল। ’

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘দুর্নীতিমুক্ত সরকারি সেবা : দুর্নীতির অভিযোগের প্রকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদকের আয়োজনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দুদকের মহাপরিচালক (দুর্নীতি প্রতিরোধ ও গণসচেতনা) ড. মো. মুহাম্মদ শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন, কাস্টমস কমিশনার এএফএম আব্দুল্লাহ খান প্রমুখ। সভার শুরুতে সরকারি বিভিন্ন অফিসের বিরুদ্ধে দুদকে জমা হওয়া অভিযোগের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন দুদকের মহাপরিচালক। (দুর্নীতি প্রতিরোধ ও গণসচেতনা) ড. মো. শামসুল আরেফীন। পরে সরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের মামলা ক্যান্সার রোগের মত। ধরলেই আর ছাড়ে না। মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলে। ক্যান্সার এমন একটি রোগ যেটি রোগীকে যেমন শেষ করে দেয়, সঙ্গে রোগীর পরিবারকেও নিঃস্ব করে দেয়। দুদকের মামলাও তেমনি। এ জন্য আমরা মামলা দিতে চাই না। তবুও দিতে হয়।

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করুন। জনগণের বিরুদ্ধে যেন আমরা না দাঁড়াই। জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আপনি জিতবেন না। কেউ জিততে পারে না। তাই আমরা যেন জনগণকে সার্ভিস দেই। টাকার বিনিময়ে আমরা যদি সার্ভিস দেই একদিন, দুইদিন, তিন দিন, ১০ দিন। কাউকে ছাড় দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আমি সবাইকে বলছি আইনটা মানেন। সরকারি কার্যালয়গুলোতে বিদ্যমান পদ্ধতি মেনে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি তা উন্নত করতে ভূমিকা রাখেন। তিনি বলেন, ‘যে পদ্ধতি আছে তা মানেন, যদি পারেন সে পদ্ধতি উন্নতি করেন। কিন্তু পদ্ধতি থেকে বের হয়ে যাবেন না। আমি জানি আপনাদের চাপ থাকে। সে চাপ সহ্য করতে হবে। দিস ইজ আওয়ার ডিউটি। ’