ভারতে অজানা কারণে ৬৭ বাঘের মৃত্যু
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভারতে প্রতিমাসে ১১টি করে বাঘ মারা গেছে। তার মানে প্রতি তিন দিনে গড়ে অন্তত একটি করে বাঘ মারা গেছে। আর দেশব্যাপি প্রাণ হারানো ৬৭টি বাঘের মধ্যে মাত্র একটি বাঘের মৃত্যুর কারণ জানতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ।
ধারণা করা হচ্ছে, বিষপ্রয়োগ থেকে শিকার এবং কখনো কখনো স্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া বিশ্ববাজারে বিশেষ করে চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাঘের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের চাহিদা প্রবল। এটাও বাঘমৃত্যুর অন্যতম কারণ হতে পারে।
প্রথম ছয়মাসের তথ্য মতে, ৫৮টি বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, বাকি নয়টি বাঘের শুধু শরীরের কিছিু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিশ্বের ৬০ শতাংশ বাঘের বাসস্থান ভারতে সবচেয়ে বেশি বাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটক প্রদেশে। সেখানে ১৪টি, মধ্য প্রদেশে ১৩টি এবং উত্তরখণ্ডে ৯টি বাঘ মারা গেছে।
২০১৪ সালের দিকে বাঘশুমারি মতে, ভারতে মোট বাঘের সংখ্যা ২ হাজার ২ শ’ ২৬টি। ২০১০ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৭০৬টি এবং ২০০৬ সালে ১৪১১টি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের ২ হাজার ২ শ’ ২৬টি বাঘের মধ্যে ১০০০ বাঘই দেশের ৫০টি বাঘ অভয়ারণ্যের বাইরে বাস করে। তাই বাঘের করিডোর বানানো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুব জরুরি।
গত বছরও ভারতে প্রায় ১ শ’ ২২টি বাঘ প্রাণ হারিয়েছিলো। ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৮০টি।
তবে বাঘের চোরাকারবারি বন্ধ করতে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ভারতের পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি বাঘের মৃত্যুই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ পাঠাতে বলা হয়েছে।