হলি আর্টিজান: জঙ্গি হামলার খরচ ৯ লাখ টাকা
গত বছরের ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় খরচ হয় প্রায় নয় লাখ টাকা। তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট চ্যানেল আই অনলাইনকে তাদের তদন্তে পাওয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন: পরিকল্পনা, জঙ্গি প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র কেনা, হামলার স্থান রেকি করা, বোমা তৈরি এবং জঙ্গিদের জন্য বাড়িভাড়া বাবদ এ টাকা খরচ হয়।
গুলশান হামলায় ব্যবহার করা আগ্নেয়াস্ত্রগুলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার একটি অস্ত্র কারখানায় তৈরি করা হয় বলে গোয়েন্দারা ধারণা করছেন।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও যশোর সীমান্ত পথ দিয়ে ট্রাকে আমের ঝুড়িতে করে অস্ত্রগুলো ঢাকায় আনা হয়। নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলের সামরিক কামান্ডার রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠরা অস্ত্রের বাহক ছিল।
এছাড়াও সোহেল মাহফুজ, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী চাঁপাইনবাবগঞ্জের বড় মিজান, ছোট মিজান, জয়পুরহাটের সাগর, আবু তাহের, সেলিম মিয়া, মিজানুর রহমান ও তৌফিকুর রহমান অস্ত্র ও গ্রেনেড সরবরাহ করে।
তাদের মধ্যে তাহের, মিজানুর, সেলিম ও তৌফিককে গত ২ নভেম্বর ঢাকার গাবতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সিটিটিসি প্রধান বলেন: মিরপুরের রূপনগর জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত মেজর (অব) জাহিদুল ইসলাম গাইবান্ধার একটি চরে গুলশান হামলাকারীদের নিয়ে ক্যাম্প করে প্রশিক্ষণ দেয়।
গুলশান হামলার পেছনে আন্তর্জাতিক কোন যোগাযোগ ছিল কিনা জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন: গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরী, মেজর (অব) জাহিদুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম মারজান এদের জীবিত গ্রেফতার করা যায়নি বলে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের বিষয়টা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
গত বছরের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। জঙ্গিরা ওই রাতে ২০ জনকে হত্যা করে, যাদের নয়জন ইটালির নাগরিক, সাতজন জাপানি, তিনজন বাংলাদেশি এবং একজন ভারতীয়। এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের হামলায় দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও প্রাণ হারান।জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় আহত হন পুলিশের অনেকে।
পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়।