আরেক দফা বাড়লো চালের দাম
চাল নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রীদের হুমকি-ধমকির তোয়াক্কা না করেই বাজারে বেড়ে চলেছে চালের দাম। শনিবার মিনিকেট ও আটাশ চালের দাম আরেক দফা বেড়েছে। এই দুই ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, শিগগির বাড়তে পারে সব ধরনের চালের দাম। শনিবার রাজধানীর রামপুরা ও মেরাদিয়া বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল চালের দাম। মোটা চালসহ সব ধরনের চাল স্বাধীনতার পর সর্বোচ্চ দামে ৫০ টাকা দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কাটাগায়ে নুনের চিটা হয়ে রেকর্ডর পর আরেক দফা বাড়লো মোটা ও চিকন চালের বাজার। এর আগে দেশের ইতিহাসে মোটা চাল সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হয়েছিল। আর চিকন চাল বিক্রি হয়েছিল ৫৬ টাকা কেজি দামে।
রামপুরা ও মেরাদিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিআর২৮ চালের বস্তাপ্রতি মানভেদে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একই অবস্থা মিনিকেট চালের দামেও। এ হিসাবে প্রতিকেজি আটাশ ও মিনিকেট চালের দাম ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। বিআর২৮ চালের দর ৫০ টাকা থকে বেড়ে কেজি প্রতি ৫৩ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিনিকেট চালের দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৩ থেকে ৬৪ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মোটা চাল স্বর্ণা প্রতিকেজি ৫০ টাকা, পাইজাম ৫০ থেকে ৫২ টাকা, চায়না ইরি ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পারিজা ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৫৬ থেকে ৬২ টাকা, বাসমতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, কাটারিভোগ ৭৮ টাকা, হাস্কি নাজির চাল ৫৪ টাকা এবং পোলাও চাল খোলা ৯০- ১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
মেরাদিয়া বাজারের পাইকারী চাল বিক্রেতা আবদুর রশিদ বলেন, সরকার হুমকি-ধমকি দিলে কি হবে? বাজারে পর্যাপ্ত চাল না থাকলে দামতো বাড়বোই। সরকার চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন। কই সরকারের কোনো অভিযানের তো খবর পাই নাই। হুমকি-ধমকি না দিয়ে সরকারকে বলবো বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে।
রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সবজির দামও। প্রতি কেজি বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা ৫০ টাকা, পটল ৩৫ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, আলু ২২ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা, পুদিনা পাতা ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেড়েছে সব ধরনের শাকের দাম।
বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী জাহিদ হাসান বলেন, চাল, ডাল, শাক-সবজি সব কিছুরই দাম নাগালের বাইরে। আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ। এভাবে সব কিছুর্ দাম বাড়তে থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।
উৎসঃ পরিবর্তন