বান্দরবানে পাহাড়ধসের প্রভাব: ঈদে পর্যটন ব্যবসা নিয়ে শঙ্কা
দেখে বোঝার উপায় নেই এটি সড়ক। চারপাশে পাহাড় ধসের মাটি, উপড়ে পড়া গাছ। বাধা ডিঙিয়ে সে পথেই এখনো চলাচল করছে দুই একজন যাত্রী। ছবিটি গতকাল সকালে রাঙামাটি–খাগড়াছড়ি সড়কের মোনতলা কিজিং আদাম এলাকা তোলা l প্রথম আলো
গত বছর ঈদের ছুটিতে পর্যটকে সরগরম ছিল বান্দরবানের ৫২টি হোটেল-মোটেল ও অবকাশকেন্দ্র। ঈদের আগেই অধিকাংশ হোটেল-মোটেল বুকিং (আগাম ভাড়া) হয়ে গিয়েছিল। এ বছর ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকি থাকলেও বেড়াতে আসার জন্য খুব কমসংখ্যক পর্যটকই বুকিং দিয়েছেন। ১৩ জুনের পাহাড়ধসের পর অনেকে বুকিং বাতিলও করেছেন। ফলে এবার ঈদের পর লোকসানের আশঙ্কা করছেন জেলার হোটেল-মোটেল মালিকেরা।
মেঘলা পর্যটন মোটেলের সহকারী ব্যবস্থাপক শাকিল আহমদ বলেন, এখন পর্যন্ত মোটেলের ১৫ শতাংশ কক্ষ আগাম ভাড়া হয়েছে। পাহাড়ধসের পর অনেক পর্যটক বুকিং বাতিল করেছেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও হোটেল-মোটেল মালিকেরা বলছেন, জেলায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটলেও পর্যটন স্পটগুলোর ক্ষতি হয়নি। পর্যটকেরা নিরাপদে বান্দরবান আসতে পারবেন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণসংযোগ বিভাগের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ বলেন, বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগসহ সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপদ এসে ফিরে যেতে কোনো সমস্যাই হবে না।
গতকাল শুক্রবার বান্দরবানের নীলাচল, মেঘলা, শৈল প্রপাতসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটক কেন্দ্রগুলোয় অলস সময় কাটাচ্ছিলেন কর্মচারীরা। তাঁরা বলছেন অন্যান্য বছর ঈদের আগেই বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসেন। কিন্তু এবার তেমনটা হয়নি।
বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের মিলনছড়ি এলাকার হিল সাইড অবকাশযাপন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক রয়েল বম বলেন, অন্য বছরগুলোয় ঈদ উপলক্ষে অনেক বেশি আগাম বুকিং থাকে। কিন্তু এবার কেবল ২৮ ও ২৯ জুনে আগাম বুকিং হয়েছে। দুটি বুকিং বাতিলও হয়েছে।
বান্দরবানের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেলা শহর ও শহরতলিতে ৫২টি হোটেল, মোটেল ও অবকাশযাপন কেন্দ্রে পাঁচ হাজার পর্যটকের ধারণক্ষমতা রয়েছে। গত বছর রোজার ঈদের পর এক সপ্তাহ হোটেল-মোটেলে কোনো কক্ষ খালি ছিল না। এ বছর তেমন বুকিং হয়নি। পর্যটকেরা না এলে লোকসানে পড়তে হবে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের।