বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাভারে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ ভয়াবহ বিস্ফোরণ

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
মে ২৭, ২০১৭

সাভার প্রতিনিধি : ঢাকার সাভারের মধ্যগ্যান্ডা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িটি থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। এরপর ওই বাড়িতে অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে ওই বাড়ির বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মাধ্যমে বাড়িটিতে পানি ছোড়া হচ্ছে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজিম বলেন, ঘিরে রাখা বাড়িটিতে অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেকোনো সময় মূল অভিযান শুরু করা হবে।
গতকাল রাত সোয়া নয়টার দিকে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ও ঢাকা জেলা পুলিশ যৌথভাবে সাভারের মধ্যগ্যান্ডা এলাকার নির্মাণাধীন ছয়তলা একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে।
মধ্যগ্যান্ডা এলাকায় ঘিরে রাখা বাড়িটির দোতলা পর্যন্ত নির্মাণ শেষ হয়েছে। নিচতলার এক ভাড়াটে নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, দোতলার ফ্ল্যাটের একটিতে পাঁচ–ছয়জন তরুণ থাকতেন। আরেক ফ্ল্যাটে থাকতেন এক যুবক ও দুই নারী। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ওই ফ্ল্যাটে দুই নারীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁরা খুব একটা আগ্রহ দেখাননি। বাসায় জড়ো করে রাখা কার্টন দেখে তিনি এর ভেতরে কী আছে জানতে চান। দুই নারী জানান, তাঁরা কাচের চুড়ির ব্যবসা করেন। নিচতলার ওই ভাড়াটে চুড়ি দেখতে চাইলে তাঁরা খুব বিরক্তি প্রকাশ করে তাঁকে চলে যেতে বলেন।
ওই ভাড়াটে জানান, বাড়ির মালিক সৌদি আরবপ্রবাসী। সিরাজুল নামের এক কেয়ারটেকারের কাছ থেকে ওই লোকজন বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন।
এদিকে এর আগে গতকাল বিকেল চারটার দিকে সাভারের নামাগ্যান্ডা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সিটিটিসি ও ঢাকা জেলা পুলিশ একটি পাঁচতলা বাড়ি ঘিরে ফেলে। সাভার মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই বাড়ির দুটি ফ্ল্যাটের একটিতে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে থাকতেন মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে ‘জঙ্গি’ সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। আরেক ফ্ল্যাটে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন অপর এক ‘জঙ্গি’। অভিযানের আগে মনির পালিয়ে গেলেও তাঁর স্ত্রী রিমু আক্তার দুই শিশুপুত্র ও এক মেয়েকে নিয়ে ফ্ল্যাটেই ছিলেন। তাঁদের আপাতত বাড়ির মালিকের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে