উত্তর কোরিয়া ‘সমস্যার সমাধান’ হয়েছে : ট্রাম্প
চলতি বছর উত্তর কোরিয়া অনেকগুলো ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এরমধ্যে হোয়াসং-১২ নামে দূরপাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের এর দাবি এ ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারী পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। আর এটি যে রেঞ্জের মধ্যে আঘাত হানতে সক্ষম তার মধ্যে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।
এ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছিল এই বুঝি ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ বেধে গেল। তবে এখন পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটনের মধ্যকার ‘সমস্যার’ সমাধান হয়েছে।
উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ এর সম্মেলনে জাপানের প্রেসিডেন্ট শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠকের পরই ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই বড় সমস্যা। এটা পুরো বিশ্বের সমস্যা। তবে এ সমস্যার এখন সমাধান হয়েছে।’ এছাড়া তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে ‘পরমাণু অস্ত্রের জন্য পাগলা’ বলেও অভিহিত করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু পরীক্ষার জন্য প্রতিবেশী দেশ এবং পুরো বিশ্ব উদ্বিগ্ন। জি-৭ সম্মেলনে বিশ্বের উন্নত ছয়টি দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরপরই এ বিষয়ে সমাধান এসেছে। এটা নিয়ে এখন আরো উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে ছিল জাপান। এ বছর তারা বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। আর গত বছর তারা দুটি আণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। কারণে তারা যেসব ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে তার বেশির ভাগের রেঞ্জের মধ্যে পড়ে জাপান। উত্তর কোরিয়া যেভাবে এগুচ্ছিল তাতে যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কাও ছিল। এ বিষয়ে জাপানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া পূর্ব এশিয়ার জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাড়িয়েছিল। শুধু পূর্ব এশিয়া নয়, তারা পুরো বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছিল। যা জি-৭ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।’
ওয়াশিংটন এতদিন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ ছিল। তবে এখন তারা আলোচনায় বসতে নিজেরাই সম্মতি দিয়েছে। তবে শর্ত জুড়ে দিয়েছে। পিয়ংইয়ং যদি পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করে দেয় তাহলে তারা আলোচনায় বসতে রাজি। একইসঙ্গে তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তারা এ কাজ বন্ধ না করলে সামরিক অভিযান চালাবে। এর আগে তারা ওই এলাকায় যুদ্ধজাহাজও পাঠিয়েছিল। যাইহোক আপাতত পরিস্থিতি শান্ত। -সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।