শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অস্তিত্ব রক্ষায় সরকার পাল্টানোর বিকল্প নেই: ফখরুল

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
জুন ৬, ২০১৭
news-image

ডেস্ক রিপোর্ট : নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এই সরকার পাল্টানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়া, গণতন্ত্র ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনাসভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

মন্ত্রিসভায় দ্রুতবিচার আইনের সাজার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিরোধীদলের নেতাদের বিভিন্ন মামলায় সাজা দেখিয়ে ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করতে চাইছে আওয়ামী লীগ সরকার। তাই তারা নির্বাচনের আলোচনা আসায় এই সংশোধনী করেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দ্রুতবিচার আইনে সাজার মেয়াদ আগের থেকে দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। আগে ছিল দুই থেকে পাঁচ বছর। এখন করা হয়েছে দুই থেকে সাত বছর।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক সামাজিক পরিবেশসহ সব সেক্টরকে ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার। তাই এই সরকারকে পাল্টানো ছাড়া কোনো কিছুই ঠিক হবে না।’

প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার যে বাজেট দিয়েছে এর মধ্যে অনেক খাতকেই কোনো রকম গুরুত্বই দেয়া হয়নি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাত এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।’

ফখরুল বলেন, ‘সরকার আগে বলত, গণতন্ত্রের আগে উন্নয়ন কিন্তু এখন তারা আর এ কথাগুলো বলে না, কারণ তারা উপলব্ধি করতে পারছে যে আগে গণতন্ত্র পরে উন্নয়ন। আর এই বাজেটে তারই প্রমাণ দেখা গেছে।’

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন এ দেশে আর হবে না। আপনারা ভালো ভালোয় সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। না হলে অতীতে স্বৈরাচারীদের যে অবস্থা হয়েছে আপনাদেরও সেই অবস্থা হবে। আপনারা নির্বাচন না দিলে এদেশের মানুষ নিজেদের ভোটের অধিকার আদায় করে নেবে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, ড্যাবের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা ড. অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, ড. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সত্র: ঢাকা টাইমস