কৃষিতে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিতে নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কৃষি শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মেধা ও মনন আর কৃষি শ্রমিকদের শ্রম ও ঘামে দেশে ১০৬টি উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। যা দেশের খাদ্য নিরপত্তায় অবদান রাখছে।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নব নির্মিত শ্রমিক কলোনি ভবন উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।ব্রির বিজ্ঞানীরা জানান, তাদের উদ্ভাবিত বি হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টারের ইঞ্জিনটি বিদেশ থেকে আনা। অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থানীয়ভাবে তৈরি। এর ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৮৭ হর্স পাওয়ার। ঘণ্টায় মেশিনটি ৩-৪ বিঘা জমির ধান কর্তন করতে পারে। জ্বালানি খরচ হয় ঘণ্টায় ৩.৫- ৪ লিটার। হারভেস্টিং লস শতকরা এক ভাগের কম।
পরে কৃষিমন্ত্রী ব্রির চত্বরে ব্রির শ্রমিকদের জন্য নির্মিত পাঁচতলা নতুন আবাসিক ভবন ‘ব্রি শ্রমিক কলোনী ভবন’ উদ্বোধন করেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, শ্রমজীবী মানুষের আবাসনের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নব নির্মিত শ্রমিক কলোনি ভবন তার একটি বাস্তব উদাহরণ।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (বিদায়ী) মেসবাহুল ইসলাম, নব নিযুক্ত কৃষি সচিব সাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীরসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অধীনস্ত সব দপ্তর, সংস্থার প্রধানগণ, এবং সংশ্লিষ্ট অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।