বিক্ষোভে উত্তাল গ্রিসে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু
সরকারের প্রস্তাবিত নতুন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে গ্রিসের ১০ হাজার প্রতিবাদকারী। এথেন্সের রাস্তায় একের পর এক পেট্রোল বোমা ফেলেছে বিক্ষোভকারীরা। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের দিকে ফ্ল্যাশ গ্রেনেড ছুঁড়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো। ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে পুরো এথেন্স শহর। পুলিশের কাঁদানে গ্যাসে বিপাকে পড়েছেন নারীরা, যারা বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর তারা দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে থাকেন। এ ঘটনায় পুলিশ নয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এমনকি ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বিক্ষোভে কড়াকড়ি বিষয়ে প্রস্তাবিত বিল নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক শেষ হয়। পরে ভোটাভুটির সময় ৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে ১৮৭ জন বিলের পক্ষে ভোট দেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকস মিটসোটাকিস বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করা যাবে তবে শহরের জীবনযাত্রায় কোনো প্রভাব না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল বা বাণিজ্যিক কাজকর্ম বাধা পায় এমন বিক্ষোভ তারা বরদাস্ত করবেন না। দেশের সব শহরের সিটি সেন্টারে প্রায়ই ছোটখাটো বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে।
পার্লামেন্টের রিভিউ কমিটি, এথেন্স বার অ্যাসোসিয়েশন, ট্রেড ইউনিয়নসহ একাধিক সংস্থা আইন পরিবর্তনের বিরুদ্ধে। তাদের যুক্তি, অনুমোদিত নয় এমন বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ সভা করা হলে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি জারি করা হয়েছে।গ্রিসে সরকার জানিয়েছে, তারা ওইসব আইন নিয়ে একাধিকবার তাদের মত জানিয়েছে। এবার তারা নতুন আইন কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর।