বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জিডিপি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস সঠিক নয়: অর্থমন্ত্রী

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
এপ্রিল ১৪, ২০২০
news-image

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার (জিডিপি) নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, এখনই এমন পূর্বাভাস দেওয়ার সময় আসেনি। বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাস সময় উপযোগী বা পরিপক্ব নয়।

বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জিডিপি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ২-৩ শতাংশ। রবিবার (১২ মার্চ) এ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৩ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জিডিপি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এ পূর্বাভাস সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, কারণ এখনই এটা বলার সময় আসেনি। বিশেষ করে অংক ধরে বলার উপযুক্ত সময় এটা নয়। আমাদের সামনে এখনও ৮ মাসের তথ্য রয়েছে। সেগুলো যাচাই করে কিছু দিন আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, এবার আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৮ শতাংশ। ফলে বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাসকে আমি সময় উপযোগী বা পরিপক্ব কোনোটাই মনে করি না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রবৃদ্ধির প্রধান তিনটি খাত হলো কৃষি, শিল্প ও সেবা। আমাদের কৃষিখাতে করোনাভাইরাসের তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। এটা যদি দীর্ঘায়িত না হয় তাহলে কৃষি খাতে আমরা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সম্পূর্ণ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবো। শিল্প খাতে কিছুটা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এটা কাটানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি। একইভাবে সেবা খাতেও কিছুটা প্রভাব পড়ছে। আমরা স্বীকার করছি প্রবৃদ্ধি কমবে, কিন্তু এতটা কমবে না। আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা, তিনি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষকে এ মহামারি থেকে রক্ষা করুন।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অর্থনীতির চেয়ে আমাদের এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হচ্ছে দেশের মানুষের জীবন রক্ষা করা। তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, খাবারের জোগান দেওয়াসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। ’

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্বের মতো আমাদের জিডিপিও কমবে। তবে আমাদের এতটা কমবে না। কমপক্ষে ৬ শতাংশের ওপরে জিডিপি এ বছরও আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবো। কারণ, বাংলাদেশে করোনার প্রভাব পড়ার আগেই আমাদের অর্থবছরের ৮ মাস অতিবাহিত হয়েছে। বাকি আছে মার্চ-জুন চার মাস। এ সময়ে যদি আমাদের শূন্য কিংবা নেগেটিভ গ্রোথও হয়, তারপরও আগের ৮ মাসে আমরা যা অর্জন করেছি সেটা ৬ শতাংশের বেশিই হবে।