প্রতিবাদ চলবে তৃণমূলের, বিভেদকামী শক্তিকে পরাস্ত করতে এককাট্টা হতে ডাক মমতার
রানী রাসমনির সভা থেকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বার্তা দিয়েছিলেন, আগুন জ্বালাবেন না। বরং দেশের আগুন নেভানোর দায়িত্ব আপনার। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আগুন জ্বলছে। আপনি ব্যবস্থা নিন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি একটুও পাল্টায়নি। তাই এবার তৃণমূল ভবনে দলের সবাইকে নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছি। পেশিশক্তি না দেখিয়ে গণতন্ত্রের কাছে মাথানত করতে হয়। আমি হাতজোড় করে আপনার কাছে আবেদন করছি গোটা দেশ জ্বলছে। সেটা নেভানোর ব্যবস্থা করুন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ফেরত নিন।’
শুক্রবার টুইটারে মমতা লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবতা সংহতি দিবসে আমাদের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের উদ্যাপন করুন। এটা আমাদের শক্তি। যাঁরা ধর্ম, জাতপাতের ভিত্তিতে বিভাজন করতে চাইছে, তাঁদের পরাজিত করতে একজোট হয়ে কাজ করুন।’ এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি ফের জানিয়ে দেন, এই কালা আইনের বিরুদ্ধে আবারও পথে নামবে তৃণমূল। তবে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস বন্ধ–অবরোধ সমর্থন করে না। জনজীবনে শান্তি বজায় রেখে তৃণমূল আন্দোলন করবে। রামচন্দ্র গুহকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে সেটা কী গণতন্ত্রের পরিচয়?’
গোটা রাজ্যে এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে তিনি কর্মসূচিও সাজিয়ে দেন। তিনি জানান, আগামী ২৩ ডিসেম্বর প্রত্যেক মহকুমায় মিছিল হবে। ২৪ ডিসেম্বর সিমলা রোড থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত মিছিল হবে। ২৬ তারিখ দমদম কামারহাটিতে মিছিল হবে। ২৭ ডিসেম্বর সিঙ্গুর থেকে কৃষকদের মিছিল হবে। ২৮ এবং ২৯ ডিসেম্বর সব বিধানসভা কেন্দ্রে ধর্না কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: আজকাল