শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভুয়া জন্মদিন বন্ধ না হলে সম্পর্ক কঠিন হবে : কাদের

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
আগস্ট ২, ২০১৯
news-image

১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘ভুয়া’ জন্মদিন উদযাপন বন্ধ না করলে দলটির সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখা কঠিন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্র শালায় যুবলীগ আয়োজিত মাসব্যাপী বঙ্গবন্ধুর চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন অনেক আগেই হয়েছে। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, যারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, মদদ দিয়েছে, হত্যাকারীদের পূনর্বাসিত করেছে, দূতাবাসে চাকরি দিয়েছে, ইনডেমনিটি আইন জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করেছে, তাদের একজন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যার মঞ্চের নায়ক, নেপথ্যের নায়ক কারা- এটা ইতিহাসই বলে। কিন্তু যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত দিবসে কেক কেটে ভুয়া জন্ম দিবস পালন করে, তাদের সঙ্গে কর্ম সম্পর্ক কীভাবে হয় আমি জানি না।’

১৯৭৫ সালের ওই দিন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা খুন হন। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ওই দিনটিতেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করলেও তার আরো জন্ম তারিখের হদিস পাওয়া যায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৫ আগস্ট, ২১ আগস্টের মত ঘটনার পরও বিভিন্ন দলের সঙ্গে একটা কর্ম সম্পর্ক আমরা রাখতে চাই, রাখছি তার প্রমাণ আছে। তবে আমাদের আবেগে, আমাদের অনুভুতিতে রক্তক্ষরণ হয়। আমি এখনও বলছি, বঙ্গবন্ধু হত্যাকে আপনারা উপহাস করে ভুয়া জন্ম দিবস পালন করেন। এই ভুয়া দিবস বন্ধ না করলে, এই দেশের রাজনীতিতে আপনাদের সঙ্গে কর্ম সম্পর্ক গড়ে তোলা আমাদের পক্ষে কঠিন।’

আগস্ট মাস এলেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিগুলো সক্রিয় হয়ে উঠে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

‘আগস্ট মাস এলেই জঙ্গিবাদ, নাশকতা, যা নিষ্ক্রিয় আছে বলে আমরা মনে করি; এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিগুলো সক্রিয় হয়ে উঠে। একদিকে হারানোর বেদনা অন্যদিকে নতুন করে হারানোর আশঙ্কা আমাদের মধ্যে আতঙ্ক সঞ্চার করে।’

যুব লীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।