শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মালয়েশিয়ার নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিন: ফখরুল

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
মে ১২, ২০১৮
news-image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি সরকারকে বলবো-মালয়েশিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখুন, দুর্নীতি করলে, জনগণের বাইরে গেলে, গণতন্ত্রের বাইরে চলে গেলে সকল শক্তি, প্রশাসন দিয়েও জনমতকে প্রতিহত করা যায় না। মালয়েশিয়ায় সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও সেখানকার সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। শেষ চেষ্টাও করেছে শপথ না করানোর জন্য। মাহাথির মোহাম্মদ ৫ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন যে, এখান থেকে আমি শপথ না নিয়ে যাবো না। শেষ পর্যন্ত সরকার পরাজিত হয়েছে। আমাদের সরকারকে বলবো-এটা থেকে শিক্ষা নিন। এখনো সময় আছে।

শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘দেশনেত্রীর রাজনীতি, সংগ্রাম ও সফলতার ৩৪ বছর’ শীর্ষক এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্স সেন্টার। দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবেদ রাজা, ফরহাদ হোসেন আজাদ, আমিনুল ইসলাম, ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টারের সদস্য আলোকচিত্রী বাবুল তালুকদার বক্তব্য রাখেন।

অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেবার জন্য তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে, এখন তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। সম্ভবত তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যাকে হাইকোর্টে জামিন দেয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার জামিনকে স্থগিত করে শুনানি করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশবাসীর কাছে আমার আহবান থাকবে যে, আসুন আমরা সবাই জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করি। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আমরা এই সরকারকে পরজিত করি। জনগণের একটা শাসন প্রতিষ্ঠা করি- এই হোক আমাদের আজকের শপথ।

বেগম খালেদা জিয়ার আত্মজীবনী লেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তার ওপর বই লেখা হচ্ছে, তার আত্মজীবনী লেখা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, সে আত্মজীবনীতে আমরা এমন কিছু জিনিস পাব, যা আমরা অনেকেই জানি না।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, আজকে নির্বাচন নিয়ে তারা নাটক করছে, প্রহসন করছে। গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে এমন একটা কাজ করলো যেটা জনগণ বুঝে নিয়েছে যে কারা করছে, কীভাবে করছে। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদিন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে। এমনকি এজেন্ট যারা হবেন তাদেরকে পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পুলিশকে দিয়ে তারা গোটা নির্বাচনের মাঠকে দখল করে নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ তো মাঠে নেই, মাঠে পুলিশ। পুলিশ আজকে আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরকম রাষ্ট্র তৈরি করেছেন সরকার। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শেষ হয়ে গেছে এবং মিডিয়াকে আজকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে। বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।