শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মেঘ-পাহাড়ের সাজেক ভ্যালি

সেরাকণ্ঠ ডট কম :
মে ২৭, ২০১৭

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রকৃতি সব মানুষকেই কম বেশি কাছে টানে। প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভেসে বেড়াতে চান না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। প্রকৃতি প্রেমিকদের যেসব বিষয়গুলো আকৃষ্ট করে তার মধ্যে পাহাড় অন্যতম। আর বাংলাদেশের পাহাড়ের সৌন্দর্য লীলাভূমি হিসেবে পরিচিত পার্বত্য চট্টগ্রাম। আর এই পার্বত্য চট্টগ্রামের যেসব দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে তার মধ্যে রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি একটি।
সবুজে ঘেরা পাহাড়ে চূড়ায় মেঘের লুকোচুরি মধ্যে সাজেক ভ্যালির নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে আপনি অনুভব করবে প্রশান্তির নির্মল ছায়া। সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জেলার সর্ব উত্তরের ভারতীয় সীমান্ত মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। আয়তনের দিকে থেকে সাজেক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। আয়তন প্রায় ৭০২ বর্গমাইল। সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম আর পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা।
সাজেক রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিতে হলেও এর যাতায়াত সুবিধা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে। রাঙামাটি থেকে নৌপথে কাপ্তাই হয়ে পায়ে হেঁটে সাজেক যাওয়া যায়। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেকের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। আর দীঘিনালা থেকে ৪৯ কিলোমিটার।
সাজেকের ুেইলই পাড়া থেকে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার ট্রেকিং করে দেখে আসতে পারেন সুন্দর কমলক ঝর্ণা। সাজেকের শেষ গ্রাম কংলক পাড়া। এটিও লসুই জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত একটি গ্রাম। কংলক পাড়া থেকে ভারতে লুসাই পাহাড় দেখা যায়। আর এই লুসাই পাহাড় থেকেই কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তি। সাজেক বিজিবি ক্যাম্পের পরে আর কোনো ক্যাম্প না থাকায় নিরাপত্তার কারণে কংরক পড়ায় যাওয়ার অনুমতি মাঝে মাঝে পাওয়া যায় না। সাজেক থেকে ফেরার সময় হাজাছড়া ঝর্ণা, দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও দীঘিনালা বনবিহারও দেখে আসতে পারেন।
সূত্র : একুশে টিভি